'প্লিজ বাচ্চাদেরকে রেসিজম শিখাবেন না'
মির্জা মাহবুবা আক্তার লিমা
ফেসবুকে গত কয়েকদিন থেকে একটি ভিডিও সবাই শেয়ার করছে। যে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কথাটা ঠিক কিনা এটা নিয়ে চলছে বিতর্ক। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এখানে কেউ কাউকে ছোট করতে পারবে না। আমাদের নবীজী এটাই আদেশ করেছেন।
একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে কিভাবে হিন্দুদের গরুর গোশত খাওয়ার দাওয়াত দেন । সেটা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়। আপনাকে যদি কেউ জা*নো*য়ারের মাংস খেতে বলে তখন আপনার কেমন লাগবে? তাই বলে যে হোলিতে রোজা রেখে রং খেলতে হবে তা নয়। পূজায় বন্ধুদের সাথে প্রতিমা দেখতে পাবেন সেটাও নয়। সব কিছুর মধ্যেই উচিত অনুচিত থাকে। সেগুলো বিচার করেই ননমুসলিম বন্ধু ও প্রতিবেশিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নামই ইসলাম।
ইসলাম শান্তির ধর্ম এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার নির্দেশ নেই। ছোটবেলায় আমার হিন্দু বান্ধবীরা ঈদে বাসায় আসতো সেমাই মোরগ পোলাও খেয়ে যেতো। আমিও তাদের পূজার সময় দাওয়াতে লূচি তরকারি খেয়ে আসতাম। আর এখনও প্রবাস জীবনে আমার অনেক ইন্ডিয়ান হিন্দু বান্ধবী আছে। তারাও আমাদের যথেস্ট রেসপেক্ট করে আমিও করি। বিভিন্ন অকেশনে তারা আমাকে গিফট করে । আমিও করি। আমাদের প্রিয়নবী( সা) ননমুসলিম বন্ধুদের থেকে বিভিন্ন সময় উপহার গ্রহণ করতেন। তাই বলছি আগে ইসলামকে জানুন, বুঝুন তারপর কথা বলুন । আর প্লিজ বাচ্চাদেরকে রেসিজম শিখাবেন না।
লেখক : মির্জা মাহবুবা আক্তার লিমা (সাবেক ছাত্রনেতা, সরকারি ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা) কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া
ছবির মডেল : লামহা