আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব নাটকের অবসান ঘটল। গত মাসের বিতর্কিত নির্বাচনের পর পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা শেহবাজ শরিফকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বড় ধরনের কারচুপির অভিযোগও ওঠে। আর ফল ঘোষণায় নজিরবিহীন বিলম্ব পরিলক্ষিত হয়। সরকার গঠন নিয়ে এক ধরনের অচলাবস্থাও দেখা দেয়।

রোববার জাতীয় পরিষদ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে বৈঠক করে। এতে আইনপ্রণেতারা নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন।

৭২ বছর বয়সী শেহবাজ শরিফ গেল বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে।

পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ শরিফ। দলটি সরকার গঠনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে জোট গঠন করেছে।

শেহবাজ শরিফ বর্তমানে পিএমএলএনের প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ২০১ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর আইয়ুব খান ৯২ ভোট পান।

নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর নবনির্বাচিত সাধারণ পরিষদ গেল বৃহস্পতিবার শপথ নেয়।

কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নির্বাচনী প্রতীক হারানোয়, প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হয়ে ভোটে অংশ নেন। দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা ৯৩টি আসন পান।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৩, ২০২৪)