যশোর পৌরসভায় অযৌক্তিক সাবমার্সিবল বিল ধার্য্য করার প্রতিবাদে সচেতন নাগরিক সমাজের মতবিনিময় সভা
স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোর পৌরসভায় পানি কর, পানির বিলের সাথে সাবমার্সিবলের অযৌক্তিক বিল ধার্য্য করার প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। মঙ্গলবার (২৭ শে ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরের হলরুমে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
স্কুল শিক্ষক শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন সচেতন নাগরিক সমাজের আহবায়ক ইকবল কবির জাহিদ, জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম উর রহমান, চৌধুরি মাহমুদ রেজা, কাজী ইমদাদুল হক, শাহিন ইকবল, কাজি আমান হোসেন, মফিজুল রহমান, হাছান, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় যশোর পৌরসভার নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে তাদের উপর অর্পিত করের কড়া প্রতিবাদ করেন। পৌরসভা সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান ১ম শ্রেণীর পৌরসভা দাবি করে নিয়মিত পৌরকর নিলেও সেবার দিক থেকে নগন্য। রাস্তাঘাট, ফুটপাত, কালভার্ট, পানি নিষ্কাশন, সুপীয় খাবার পানি সরবরাহ করার কথা থাকলেও পৌরসভা তা পুরোপুরি করছে না। নাগরিক সেবার কথা বলে প্রতিনিয়ত পৌরবাসির সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচারণের কারণে নাগরিক সমাজ ফুঁসে উঠছে। ২৯ শে ফেব্রুয়ারি সাবমার্সিবল পানির বিল বাবদ ৩০০ টাকা না দেওয়ার ঘোষণা করেন তারা। এরপরও যদি করের জন্য পায়তাড়া করা হয় তাহলে পৌরসভা ঘেরাও করাসহ উচ্চমহলে কথা বলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার আসা ব্যক্ত করেন উপস্থিত পৌরবাসি।
এ সময় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে ৪ দফা দাবিতে উপনীত হন আয়োজকরা। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখে স্মারক লিপি প্রদানের কথা বলা হয়। ৪ দফা দাবিতে বলা হয়, সাবমার্সিবল পাম্পে ৩০০ টাকা বিল বাতিল, সাপ্লাই পানি নিশ্চিত না হলে বিল বাতিল, ১০ শতাংশ পানি কর বন্ধ , অস্বাভাবিক হারে পৌর কর বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় পৌরবাসির বিভিন্ন নাগরিক অধিকার ও দাবি আদায়ে 'যশোর পৌর নাগরিক কমিটি' গঠন করা হয়। কমিটিতে শওকত আলীকে আহবায়ক ও জিল্লুর রহমান ভিটুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
(এসএ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪)