মুন্সীগঞ্জে এনজিওর ঋণের চাপে ছেলে মেয়েকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা
নবারুণ দাশগুপ্ত, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ছেলে মেযেকে বিষ খাইয়ে হত্যা পর মা সালমা বেগম গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে। রবিবার সকাল ৯ টার দিকে তাদের বসত ঘর থেকে একে একে মা,ছেলে ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের উত্তর ইসলামপুর গ্রামে। সৌদি প্রবাসী ওলি মিয়া স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫) তার মেয়ে কেরানীগঞ্জের চর সোনাকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালযের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ছাইমুনা আক্তার (৯) ও ছেলে একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র তাওহী হোসেন (৭)। মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পেরেন করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।
মৃত সালমা বেগমের জা রোজিনা আক্তার জানান, সে ঋণগ্রস্ত ছিল বিভিন্ন এনজিও থেকে সুদে টাকা নিয়ে ছিল রবিবার সকাল ৯ টার দিকে দুইজন এনজিওর লোক আসছিল কিস্তি নেওয়ার জন্য, কর্মিদের নানা কথা শুনে আসছিলো ঘরে বসে। পরে তারা ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ফিরে যায়। তারা যাবার পরে জানালা ভেঙ্গে দেখি সালমার ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে আর বাচ্চা দুটি খাটের ওপর পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
সিরাজদীখান থানার কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম জানান,প্রায় ৭ বছর আগে সালমা বেগমের স্বামী ওলি মিয়া ৮ লাখ টাকা ঋণ করে সৌদীতে জান। সেই ঋণের টাকা দিনে দিনে বাড়তে থাকে। এনজিও কর্মকর্তাদের একরকম পালিয়ে বেড়াতো সে। বহু বিনয় করেও এনজিও কর্মকর্তাদের মন গলাতে পারেনি।চাপ বাড়তে থাকে প্রতিদিন। ঋণের চাপ সইতে না পেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(এনডি/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪)