কেউ শিশু-সন্তান ফেলে দেয়, কেউ একটা সন্তানের জন্য করে হাহাকার!
ফয়জুল মুনির, পটুয়াখালী : রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি শহরের শেরেবাংলা সড়কে হিমিপলি ক্লিনিকের রাস্তার বিপরীত পার্শ্বে ড্রেন এবং কাটাতার বেড়ার ভিতর লতাপাতা-জঙ্গল আবর্জনার মধ্যে দুপুর ১.০০ সময় একটা নবজাতক শিশুর কান্নার শব্দ পায়। এলাকার মোঃ রুস্তুম মিয়ার নাতি মোঃ ইয়ামিন (ছাত্র) তাকে আবর্জনা হতে তুলে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলাউদ্দিন আলালের হাতে দেয়। ছেলে-বাচ্চাটি প্রাথমিকভাবে পরিস্কার করে কাউন্সিলর আলাল তোয়ালে পেচিয়ে নিকটস্থ স্কানো ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে ঘটনাটি শহরে ছড়িয়ে পরলে অনেক লোকজন উপস্থিত হয়।
অনেকের মধ্যে হতে ৭/৮ জন নিঃসন্তান স্বামী-স্ত্রী উপস্থিত হয়ে ফুটফুটে ছেলে বাচ্চাটিকে দত্তক-সন্তান হিসাবে পাওয়ার জন্য দাবি করেন। উপস্থিত এক দম্পত্তি আক্ষেপ করে বলেন আমরা একটা বাচ্চা সন্তানের জন্য ১০/১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছি কিন্তু একটা সন্তান পেলাম না আর যাদের বাচ্চা হয় তারা জঙ্গলে ফেলে দেয়!
অন্য একটা ২৪/২৫ বছরের মেয়ে বাচ্চাটিকে পাওয়ার জন্য যে আকুতি করেছে তা দেখে এ-প্রতিবেদকের বুকে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। সত্যি বলতে বাচ্চাটিকে সন্তান হিসাবে পাওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি চলছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিশুটিকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সর্বশেষ খবর বর্তমানে ছেলে শিশুটি হাসপাতালে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।
(এফএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪)