মাছ, মাংস, ডিমের উৎপাদন খরচ কমানো উচিত: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন খরচ কমাতে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। এ পণ্যগুলো ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) বা নীতি সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) জন্য কৃষি ব্যবসা পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ও বিপণন পরামর্শ এবং বাস্তবায়ন সহায়তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর যাচাইকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন।
আব্দুর রহমান বলেন, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি। মাছ,মাংস, ডিম ইত্যাদি। এখানে কথায় কথায় একটা কথা চলে আসে সিন্ডিকেশন, সিন্ডিকেট। এরা সম্মিলিতভাবে দাম বাড়ায়, কমায়। এখানে যে একেবারে ঘাপলা নেই তা নয়। সবটুকুতেই ঘাপলা আছে এটাও ঠিক না। আমাদের উৎপাদন খরচের সঙ্গে এটা সাংঘাতিকভাবেই প্রাসঙ্গিক।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে সরকারের জায়গা থেকেও এগিয়ে আসা উচিত। কীভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায়, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে যেতে হলে কী কী ইনসেন্টিভ বা পদক্ষেপ প্রয়োজন, সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব সরকারের আছে।
প্রধানমন্ত্রীকে মানবিক চরিত্রের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যদি উনাকে আমরা বোঝাতে পারি যে এ ব্যাপারটি মানুষের সুবিধার্থে। যাদের আমরা দায়ী করে থাকি, তারা আসলে কতটা দায়ী। তারা আসলে কতটুকু জড়িত। সেই যায়গাটা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো গেলে তিনি নিশ্চয় বুঝবেন।
নিজেকে শিক্ষানবিশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরাট একটা উল্টাপাল্টা জায়গা থেকে, আরেকটা উল্টাপাল্টা জায়গায় আসছি। নিশ্চয় সব বুঝবো। এটাও আমি পারবো। আমার সময় লাগবে।
কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের এই সরলতা, আন্তরিকতাকে আপনারা আন্তরিকতা হিসেবেই নিবেন।
প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সাফল্য নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মূল চেতনা বাস্তবায়ন করলে আমরা সফল হতে পারবো।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত যেটুকু অর্জন করেছে, ভারতের এটুকু অর্জন করতে ১০০ বছর লেগেছে।
মাংসের উচ্চমূল্যকে প্রাণিসম্পদের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে সচিব বলেন, মাংসের দাম বাড়ার অনেক কারণ আছে। পশু খাদ্য, ভ্যাকসিন অনেককিছু আছে। তবে একটা জিনিস স্পষ্ট, গত কয়েক বছর কোরবানির জন্য বাইরে থেকে পশু আনতে হয়নি।
প্রকল্পটি স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়নে জোর দিয়ে সচিব বলেন, কসাইখানা বা অন্য জিনিসগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী।
(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪)