বিশ্ব ভালবাসা দিবসের রাতে মায়ের কবরের পাশে সাংবাদিক পিন্টু
নবারুণ দাশগুপ্ত, টঙ্গীবাড়ী : বুধবার ৯ টায় মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের বালিগাঁও কবরস্থানে শায়িত এক মায়ের কবরে ফুল দিতে দেখা যায় মা হারা এতিম সন্তানকে। পেছন থেকে কেউবা ছবি তুলে ছবি ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর সে রাতেই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে উঠে ছবিটি। ছবিটি একজন এতিম সন্তানের, যিনি তার মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন।
তিনি আর কেউ নন, টংগিবাড়ী প্রেসক্লাব এর ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক এর টঙ্গীবাড়ী(মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টু। যাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই P I N T U- ‘কথা শিল্প’ নামেই চিনে। তিনি প্রায়শই রাতে ছুটে আসেন মায়ের কবরের পাশে।
১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস যাকে ঘিরে সমগ্র বিশ্ব প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে ভালোবাসা স্থাপন করতে ব্যস্ত অন্য দিকে সাংবাদিক মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টু বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশ করলেন মায়ের কববরে ফুল দিয়ে মোনাজাতে কেঁদে চোখের পানিতে। এ এক ভিন্ন দৃস্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। যেখানে সবাই প্রিয় মানুষকে নিয়ে ঘুরতে ব্যস্ত সেখানে তিনি ফুল নিয়ে মায়ের কবরের পাশে দাড়িয়ে মোনাজাতে কাঁদলেন।
জানাযায়, বেশ কিছুদিন মেরুদন্ডে স্পাইনাল টিউমার থাকায় চিকিৎসাধীন থেকে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক এ আক্রান্ত হন এবং গত ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিস্টাব্দ ভোর আনুমানিক ৫:২০ মিনিটে ঘুমন্ত অবস্থাতেই নিজ গৃহে তার মা নিহারা বেগম মৃত্যুবরণ করেন।
মোনাজাত শেষে কবরস্থান থেকে বের হওয়ার সময় দেখতে পাই লোকটা আর কেউ নয় আমাদের এলাকারই সন্তান সাংবাদিক পিন্টু। মায়ের কবর জিয়ারত করতে আসছে ভালবাসা দিবসে। এমন ঘটনা বিরল।
এবিষয়ে সাংবাদিক মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভালোবাসতে জানলে প্রতিটি দিনকেই ভালোবাসায় রুপান্তর করা যায় কিন্তু আমার সেই ভালোবাসার মানুষ গর্ভধারিনী মা তো নেই। আমি মা হারা এতিম। আমি প্রায়শই রাতে আসি মায়ের কবর জিয়ারত করতে। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেও আসছি মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসেছি। চাইছি আল্লাহর করুনা।
(এনডি/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪)