মহম্মদপুরে রিয়াজ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
মহম্মদপুর প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের বাসিন্ধা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ মোল্যাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামীদের আটক এবং বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয় জনতা। গত বুধবার বেলা ৩ টার দিকে নহাটা বাজারে এ মানববন্ধন সম্পন্ন হয়। এছাড়া আসামীরা বিভিন্ন সময়ে হুমকী-ধামকি দিচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী।
জানা গেছে, ৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত ৯টা ৩০ মিনিটে মোঃ রিয়াজ মোল্যাকে পিটিয়ে হত্যা করে মামলার আসামীরা।এঘটনার পরে নিহত রিয়াজ মোল্যার পিতা মোঃ নিজাম মোল্যা বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মাগুরা বিজ্ঞ মহম্মদপুর আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ও হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া নিহত মোঃ রিয়াজ মোল্যার পিতা মোঃ নিজাম মোল্যা বলেন, হত্যা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ও মামলার আসামীরা পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে আটক করছেনা পুলিশ। এছাড়া তারা বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের হুমকী-ধামকী দিয়েই আসছে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের। ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তার পরিবারের লোকদের। তিনি নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
নিহত রিয়াজের মাতা রেহেনা বেগম বলেন, আমার সন্তানকে হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি তারা আমাদের ও দেখে নেবে বলে বিভিন্ন সময়ে হুমকী-ধামকী দিচ্ছেন। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। নিহত রিয়াজের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মোঃ হোসাইন মোল্যা তার পিতা হত্যার বিচার চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
মানববন্ধনে ফুলবাড়ী গ্রামের বাসিন্ধা মোঃ কামরুজ্জামান (জিল্লু) বলেন, আমরা মানববন্ধন করতে যাচ্ছি বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে বাজারে আসার সময় নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তৈয়েবুর রহমান (তুরাপ) নেতৃত্বে তাকে ও জসিম কে বেধড়ক মারপিট করেন হত্যা মামলার আসামীরা। গুরুতর আহত জসিমকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সে ফুলবাড়ী গ্রামে ফুলিয়ার ছেলে।
মোঃ কামরুজ্জামান জিল্লু আরো বলেন, তার ও প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে তিনি হত্যা মামলার আসামীদের আটক করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী করেন।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক বোরহান উল ইসলাম জানান, এ হত্যা মামলায় দুজন আসামিকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(বিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪)