মেয়রের সঙ্গে বাংলা গান গাইলেন বিদেশি কূটনীতিকরা
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে জনপ্রিয় বাংলা গান গাইলেন বিদেশি কূটনীতিকরা। তারা গান গাইতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ৩ নম্বর সড়কে ‘পাড়া উৎসবে’ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
উৎসব উদ্বোধনের পর ডিএনসিসির মেয়র ঢোল বাজাতে বাজাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে ডেকে নেন। পরে মেয়র ‘স্বাদের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী...’ গানটি শুরু করেন এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইতে অনুরোধ করেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনারও গানটি গান এবং উচ্ছ্বসিত হোন।
পরে মেয়র ডেকে নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে। কাছে ডেকে নিয়ে ঢোলের তালে শুরু করেন ‘চুমকি চলেছে একা পথে, সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে....’ গানটি। পরে ভারতীয় হাইকমিশনারকেও গাইতে বলেন। মেয়রের সঙ্গে গানটি গেয়ে শোনান হাইকমিশনার।
এছাড়া মেয়রের সঙ্গে গান গেয়ে শোনান ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র। পরে মেয়র ব্রুনাই দারুসসালামের রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস বিন ওথমানের সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলেন।
উৎসবে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসবের মাধ্যমের সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা সবাই মোবাইল, ইন্টারনেটে ব্যস্ত হয়ে পরেছি। আমাদের সমাজের সবার সঙ্গে সম্পৃক্ততা খুব প্রয়োজন। পাশের বাসার মানুষকে চিনি না আমরা। প্রতিবেশীর বাসায় কি সমস্যা সেটা জানি না, খোঁজ নেই না। ছোটবেলায় আমরা পাড়ায় পাড়ায় উৎসব করতাম। প্রতিবেশীদের বাসায় হালুয়া-রুটি বিতরণ করতাম। সমাজের সবার মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। ছোটরা বড়দের সম্মান করতাম, দেখলে সালাম দিতাম। ঢাকায় এ ধরনের চিত্র এখন দেখা যায় না। তাই সামাজিক বন্ধন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই পাড়া উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছি।
বারিধারা সোসাইটির বাসিন্দাদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, বারিধারা লেকের পানি দূষিত হয়ে গেছে। সেখানে আমরা মাছের চাষ করতে পারছি না। মশার চাষ হচ্ছে। বেশিরভাগ বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সিটি করপোরেশনের সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। আমি অভিযান করেছিলাম, কলাগাছ ঢুকিয়ে অবৈধ সংযোগ বন্ধ করেছিলাম। সবাইকে বলছি, দয়া করে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ আমাদের সারফেস ড্রেনে দেবেন না।
(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২৬, ২০২৪)