গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-০১ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের যাচাই বাছাইয়ে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে।

এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লেঃ কর্নেল ( অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খান সহ ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক। আগামী ৭ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদের নির্বাচনে এ ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।

অন্য প্রার্খীরা হলেন জাকের পার্টির দেলোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো: আব্দুল্লাহ, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সহিদুল ইসলাম মোল্লা ও তৃণমূল বিএনপির মো: জাহিদুল ইসলাম।

আজ শনিবার সকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত যাচাই বাছাইয়ের সময় কমিশন নির্ধারিত ১শতাংশ ভোটারের মধ্যে একজন ভোটারের স্বাক্ষর সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আগামী ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বতন্ত্র ওই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

মুকসুদপুর উপজেলা চেয়াম্যান মোঃ কাবির মিয়া গত ২৮ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে গত ৩০ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোয়নপত্র দাখিল করেন।

তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর লাইম লাইটে চলে আসেন। বিগত উপজেলা নির্বাচনে তিনি লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খানের সমর্থিত প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মুক্ত মুন্সিকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়া এ জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ভিআইপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়া বলেন, জনগণই আমার ভরসা। তাদের সমর্থন নিয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পাব। এ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে তুলে আমি বিজয়ী হব।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসনটি আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি। এ জেলা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জেলা। এখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাপা, জাসদ কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক অবস্থান নেই। তাই স্বাধীনতার পর অধিকাংশ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে বিএনপি বা অন্য দলের প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়া প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে তুলতে পারবেন। কিন্ত জয় শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থীরই হবে। কারণ এ আসনের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিক নৌকায় ভোট দিতে পছন্দ করেন।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২৩)