একে আজাদ, রাজবাড়ী : শীতের আগমনী বার্তায় নদীবেষ্টিত পদ্মা কন্যা বলে পরিচিত জেলা রাজবাড়ীতে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। শীত নিবারণের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানগুলোতে।

অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরোনো লেপ-তোষক মেরামতে। দক্ষিণের এ জেলায় ভোরে ও সন্ধ্যা-রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে যে যার সাধ্যমতো শীত মোকাবেলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।রাতের বিছানায় টেনে নিতে হচ্ছে কাঁথা বা কম্বল।

জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এসব তুলায় বালিশ তৈরি করেন সমাজের ধনী লোকেরা। আর গার্মেন্টস তুলায় বালিশ, লেপ ও তোষক বানিয়ে নেন মধ্যবিত্ত ও গ্রামের গরিব মানুষেরা। তবুও বর্তমান বাজারে ৫ হাত বাই ৬ হাত লেপ তৈরি করতে ১৭০০ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। যা গতবারের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি।

হাবাসপুর এলাকার আরজিনা বিবি জানান, এবারে বেশি শীত হতে পারে। তাই আগে ভাগে লেপ তৈরির জন্য দোকানে এসে অর্ডার দিচ্ছি।

পাংশা পৌর মার্কেটের কামরুল বিছানালয়ের মালিক কামরুল হাসান জানান, শীতের শুরুতেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে।

পাংশা পৌরসভার ভেতরে গিয়ে দেখা যায় লেপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততা। অন্যদিকে শহরের দোকানিরাও অর্ডার নিচ্ছেন। ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

(একে/এসপি/নভেম্বর ১৮, ২০২৩)