ময়মনসিংহে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা
নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২২-২৩) পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক (২০২৩-২৪) দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার সকালে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধন করেন মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব ডঃ নাহিদ রশিদ।
এসময় গেষ্ট অব অনার হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর আবুল মনসুর এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো..আব্দুল কাইয়ুম, মৎস্য অধিদপ্তর এর মহা পরিচালক খোঃ মাহাবুবুল হক এবং মোঃ জুলফিকার আলী মহাপরিচালক মৎস গবেষণা ইনিষ্টিটিউট। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস।
বাংলাদেশ মৎসের এত উন্নয়নের পিছনে যাদের অবদান তারা হচ্ছে এদেশের মৎস চাষী। মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে এদেশের চাষিরা আজ মৎসখাত কে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অতিঃ সচীব আবদুল কাইয়েম জানান।
সচিব নাহিদ রশিদ তার বক্তৃতায় বলেন, নীল কাকরা গবেষণা এ পর্যন্ত মৎস অধিদফতর ১৯টি পদক লাভ করেছে, এটা গৌরবের বিষয়। ইলিশ নিষেধাজ্ঞায় এ বছর আইনের আওতায় এনে ১৮ জেলেকে জেল ও জড়িমানা করা হয়েছে। সচীব বলেন, আমাদের দেশে মৎস অধিদপ্তরের জন্য প্রযুক্তি ও ম্যাকানাইজেশনের বিকল্প নাই, দীর্ঘ সময় ও দীর্ঘসুত্রতায় চাষীদের মুল্যায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মোট ৫৪টি প্রকল্প আমাদের হাতে, তৎমধ্যে নুতন ১৩টি ও চলমান ৪১টি প্রকল্প আমাদের কাছে আছে। আমাদের দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কিছু দূর্ভব মাছ নিয়ে আৃমাদের বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলে আমরা পুনরায় সেই মাছগুলো ফিরে পেতে শুরু করেছি, এখন আমাদের দেশে বিলুপ্তপ্রায় মাছ চাষ চলছে।
(এনআরকে/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০২৩)