‘আস্থার সংকটে অনেকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যান’
স্টাফ রিপোর্টার : আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের ৪০ হাজার নার্স আছে, ডাক্তারের সংখ্যাও পর্যাপ্ত। আছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব সুযোগ-সুবিধা। তারপরও প্রতিবছর বহু রোগী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ, আস্থার সংকট। এটি ফেরাতে হবে।’
চিকিৎসক-নার্সদের সদ্ব্যবহারে রোগীদের বিদেশমুখিতা কমাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের প্রতি সদ্ব্যবহার ও সর্বোচ্চ সেবা দিলে কোনো রোগী দেশের বাইরে যাবে না।’
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর কলেজ অব নার্সিংয়ে নার্স শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিটিসি) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। কানাডা সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কোয়ার্টার ইন্টারন্যাশনাল।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তারের তুলনায় রোগীদের সবচেয়ে কাছের মানুষ নার্সরা। তাই রোগীদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে হবে। নার্সদের সদ্ব্যবহারে রোগীরা অর্ধেক ভালো হয়ে যায়, মনোবল বাড়ে। তাদের সেবাই বিদেশমুখিতা কমাতে পারে।’
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নার্সদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার ও নার্স চাইলে রোগীদের ভালো সেবা দিতে পারেন। এরই মধ্যে তারা সেটি করেও দেখিয়েছেন। কোভিডের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নার্সরা কাজ করেছেন। অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, মারাও গেছেন। কিন্তু সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকেননি। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ফেলে রেখে গেলেও নার্সরা চলে যাননি। তারা সেবা দিয়ে গেছেন। এটি আমাদের বড় পাওয়া। কোভিড মোকাবিলায় সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল নার্সদের।’
বর্তমান সরকারের সময়ে স্বাস্থ্যখাতে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে দাবি করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘গত ১৫ বছরে এ খাতে অনেক কিছু অর্জন হয়েছে। অনেক মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ হয়েছে। নার্সদের শিক্ষা, চাকরির সুযোগ অনেক বেড়েছে। এ জন্য সাড়ে ৩শ ইনস্টিটিউট হয়েছে। গত ৫ বছরে স্বাস্থ্যখাতে ২৫ হাজার নার্স নিয়োগ হয়েছে। নার্সরাও যাতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারে সেই সুযোগও নিশ্চিত করেছে সরকার।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রকল্প শুরু হলেও আমাদের অনেক কাজ প্রায় সময়তো হচ্ছে না। নতুন এ কাজেও যেন এমনটা না হয় সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে। নার্সদের ঠিকমতো প্রশিক্ষিত করা গেলে, মনস্তাত্ত্বিক উন্নতি করা গেলে সর্বোচ্চ সেবা পাওয়া যাবে। এখান থেকে দক্ষ নার্সও দেশের বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে।’
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুদ নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা প্রমুখ।
(ওএস/এএস/নভেম্বর ০৯, ২০২৩)