রূপক মুখার্জি, লোহাগড়া : নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের মাইগ্রাম-তেলকাড়া খালে বিচরণকারী সেই কুমির ধরলো গ্রামের সাহসী যুবকরা। পরবর্তীতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধৃত কুমির হস্তান্তর করা হয়েছে। 

মাইগ্রাম ও তেলকাড়ার মানুষজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২২ অক্টোবর ওই গ্রামের লোকজন মাইগ্রাম-তেলকাড়া খালে দুটি কুমিরের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। খালে কুমিরের উপস্থিতি দেখতে আশেপাশের এলাকার মানুষ খালপাড়ে ভীড় করে। খালে কুমিরের বিচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ২৩ অক্টোবর নড়াইল জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস কে আব্দুর রশীদ ও বনকর্মী মো: হাসান খাঁন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং খালে কুমির বিচরণের ভিডিও ধারণ করে বন বিভাগের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। কিন্তু শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটির কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কুমির উদ্ধারে সময়ক্ষেপণ করেন। এরই মধ্যে ওই এলাকার যুবকরা খালের কুমির ধরার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে ওই খালের দাসপাড়া এলাকায় মাইগ্রামের সাহসী যুবক শান্ত'র নেতৃত্বে ৭/৮ জন যুবক দড়ি দিয়ে কৌশলে একটি কুমিরকে ধরে ফেলে। ধরার সময় কুমিরটি খালের পাড়ে রোদ্দুর পোহাচ্ছিল।

এদিকে শনিবার সকাল থেকে খালের কুমির ধরার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় শত শত মানুষ ভীড় করে। খবর পেয়ে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্হলে ছুটে যান।

পরবর্তীতে শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে খুলনা বিভাগীয় বন অধিদপ্তরের বনপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন এবং ধৃত কুমিরটিকে উদ্ধার করে খুলনায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে প্রাণী বিশেষজ্ঞ মো: মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, নড়াইলের লোহাগড়ায় খালে উদ্ধার হওয়া কুমিরটি মিঠা পানির কুমির। এটি ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা। এ প্রজাতির কুমির বিলুপ্তপ্রায়।

তিনি আরও বলেন, বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে ধৃত কুমিরটি সুবিধাজনক স্থানে অবমুক্ত করা হবে।

(আরএম/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০২৩)