মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে শ্বশুর বাড়ী থেকে ২ সন্তানের জনক মোঃ ছালা উদ্দিন (৩১) ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ। পরিবারের দাবী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তাকে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা হলে চালানোর চেষ্টা করছে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।

আজ সোমবার ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাগ্গ্যা গ্রামে।

নিহত ছালা উদ্দিন চরজুবিলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাগ্গ্যা গ্রামের আতর আলীর পুত্র।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, ৩/৪ দিন আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছালা উদ্দিনের সাথে তার স্ত্রী আকিমা বেগমের সাথে ঝগড়াঝাটি হয়, তখন ছালা উদ্দিন তার স্ত্রীকে একটি চড় মারেন। এ ঘটনায় আকিমা বেগম অজ্ঞাত লোকের সাথে হোন্ডা যোগে তার বাবার বাড়ীতে চলে আসেন, ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টার সময় জেঠার পোল সংলগ্ন নিজের বাড়ীর সামনে তার নিজের চা দোকানটি বন্ধ করে সুইজ গেট সংলগ্ন আব্দুল সর্দারের বাড়ীতে স্ত্রীকে আনতে যান ৯ তারিখ ভোরে তার শ্বশুর বাড়ী থেকে ফোন করে জানানো হয় ছালা উদ্দিন গলায় ফাঁস দিছে, বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে আপনারা এসে দেখে যান, সাথে সাথে ছালা উদ্দিনের শ্বশুরের বাড়ীতে গেলে তাকে মৃত দেখতে পান। বেলা ১১ টায় খবর পেয়ে চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির, এসআই আনসারসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত ছালা উদ্দিনের ভাই আবুল বাসার এবং বোন পান্না বেগম বলেন, আকিমা বাড়ীতে আসার সময় হুমকি দিয়ে আসছিলো ছালা উদ্দিন শ্বশুর বাড়ীতে গেলে তাকে খুন করা হবে এটি সম্পর্ণ হত্যা, আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

নিহত ছালা উদ্দিনের ভাই আবুল বাসার আরো বলেন, স্ত্রী আকিমা সেই বাড়ীতে যায় এবং হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী আকিমা এবং শ্যালক আব্দু্ল মালেক, বায়রা (অজ্ঞাত) সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের ইন্ধনে তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়।

অভিযুক্তদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় আনা হয়েছে পোস্টমর্টেমের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তৃতি চলছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।

(এস/এসপি/অক্টোবর ০৯, ২০২৩)