অ্যাওসেড’র প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় বক্তারা
বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দায়ী দেশগুলোকে
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দায়ী উন্নত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। অ্যান অর্গানাইজেশন ফর সোশিও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (অ্যাওসেড) নামে একটি উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় এই দাবি তোলেন বক্তারা।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শরণখোলা উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুুঁকির অর্থায়ন ও বীমার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উপকূলীয় অঞ্চলের তৃণমূল বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জার্মান দাতা সংস্থা এমজেড ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অর্থায়নের কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ‘অ্যাওসেড’ এই অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।
অ্যাওসেড’র নির্বাহী পরিচালক শামিম আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার ও কেয়ার বাংলাদেশের হিউম্যান অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাকশন প্রগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় দাস।
সভায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি, মোকাবিলায় করণীয় এবং দায়ী উন্নত দেশগুলোর কাছে ক্ষতিপূরণ দাবিসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এম সাইফুল ইসলাম খোকন, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম ওয়াদুদ আকন, ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মইনুল ইসলাম টিপু, সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব, অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ মুক্তা, এনজিও সমন্বয় কমিটির সভাপতি মীর সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাওসেড’র নির্বাহী পরিচালক শামিম আরেফিন জানান, এই প্রকল্পে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর, রায়েন্দা ও সাউথখালী এবং সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ইসলামকাটি, জালালপুর ও খেশরা ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও স্থানীয় তহবিল গঠনের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি-বেসরকারি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রনে ম্যাপ কাঠামো, সমন্বয় এবং নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করা হবে। ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩