স্পোর্টস ডেস্ক : জাপান ও ভিয়েতনাম দল দুটি নিয়ে আগে থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটু। চীন যাওয়ার আগে দেশের অভিজ্ঞ এই কোচ বলেছিলেন, ‘সর্বশেষ বিশ্বকাপে খেলা দল দুটি আমাদের গ্রুপে পড়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত কম গোলে হারা যায়।’

প্রতিপক্ষ যখন অনেক বেশি শক্তিশালী, তখন চাইলে বা চেষ্টা করলেই তাদের সঙ্গে লড়াই করা যায় না। প্রথম ম্যাচে জাপান ৮ গোল দিয়ে সেটা প্রমাণ করেছে। আজ (সোমবার) দ্বিতীয় ম্যাচে ভিয়েতনামও কম যায়নি। তারাও বাংলাদেশের জালে দিয়েছে ৬ গোল।

শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে ফলাফল ৬-১। দুই ম্যাচে ১৪ গোল খেয়ে সাবিনারা বুঝতে পারছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়ি ঘুরালেও এশিয়ার ফুটবলে কতটা পিছিয়ে তারা।

ভিয়েতনাম প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছিল ২-০ গোলে। বাংলাদেশের জালে প্রথমার্ধে ২ গোল দিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল তারা। ভাবা হয়েছিল, গোলের সংখ্যা হয়তো বেশি বাড়াতে পারবে না ভিয়েতনাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আরো আগ্রাসী ফুটবল খেলে তারা ৪ গোল দিয়েছে।

দুই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে ভিয়েতনাম। আর দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছে। বাংলাদেশ যে ম্যাচে চোখ রেখে চীন গেছে সেই নেপালের বিপক্ষে খেলা ২৮ সেপ্টেম্বর। সাবিনাদের সব মনোযোগ এই ম্যাচ ঘিরে। প্রথম দুই ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে খেলার অভিজ্ঞতাটাই বড় বাংলাদেশের জন্য। নেপালকে হারাতে পারলেই বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ হবে।

ভিয়েতনাম বাংলাদেশের জালে প্রথম গোল দেয় পঞ্চম মিনিটে। এরপর ৩৪ মিনিটের দেওয়া গোলে ব্যবধান বাড়ায়। বিরতির পর ৬৫,৭১, ৭৮, ৮০ মিনিটে গোল করে তারা। বাংলাদেশ ব্যবধান ৬-১ করে ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মাসুরা পারভীনের গোলে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩)