আবীর আহাদ


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানের পক্ষে সকল উপায়ে, এমনকি তার জগতবিখ্যাতে পারমাণবিক শক্তি চালিত সপ্তম নৌবহর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাত্ করতে চেয়েছিল, কিন্তু বীর মুক্তিবাহিনী, ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও সোভিয়েত রুশবাহিনীর সম্মিলিত শক্তির কাছে তারা ন্যক্কারজনকভাবে পরাজিত হয়। সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত রাজাকার অপশক্তিকে ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে  ২০২৩ সালে এসে সে নানান স্যাংশন ও ভিসানীতির অন্তরালে বাংলাদেশকে পদানত করতে উদ্ধত হয়েছে। আমরা বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা জাতি কোনো কালেই, এমনকি বর্তমানেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের চলার পথে গণনার মধ্যেও বিবেচনা করি না। আমরা পূর্ব থেকেই পূর্ণ  জ্ঞাত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি আন্তর্জাতিক অপশক্তি এবং বিশ্ব মানবতার শত্রু। তার নিকট থেকে কোনো দেশের কোনো মানুষের নূন্যতম কিছুই ভালো প্রত্যাশা করার কিছু নেই। সে দেশে  দেশে, সমাজে সমাজে, মানুষের মধ্য হিংসা, হানাহানি, যুদ্ধ ও রক্তপাত ছাড়া আর কিছুই দিতে জানে না। এসব করে সে মারণাস্ত্রের ব্যবসা করে থাকে। তার দেশের প্যান্টাগন, সিআইএ ও মিলিটারি ইন্ডাসট্রিয়াল কমপ্লেক্স প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সে দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে নানান মারণাস্ত্রের বাণিজ্যে তার সাম্রাজ্যবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। মানুষের রক্ত ও  মৃত্যুর মধ্যে তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন!

সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থোদ্ধারের জন্য যা কিছু অপকর্ম করে করুক, সেটা তার বিষয়, কিন্তু আমরা আমাদের দেশ ও জাতির স্বাধীনতার সুরক্ষা, আত্মমর্যাদা ও আর্থসামাজিক উন্নত জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যা যা করণীয়, আমাদেরকে তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বে আমরা নিশ্চয়ই বন্ধুহীন নই। মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুরা এখনো আমাদের পাশে রয়েছে।

আমাদেরকে শুধু বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এভাবেই আন্তর্জাতিক অপশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রুখে দিতে হবে।

লেখক : চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।