আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ব্যবসায়ীরা সম্মত না হওয়ায় গত দুইদিন থেকে বরিশালের আড়তগুলো আলু শুন্য হয়ে পরেছে। আলু সরবারহকারী ব্যবসায়ীরা নগরীর ফরিয়া পট্টি থেকে চলে যাওয়ায় দুইদিনের ব্যবধানে আলু সংকট দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পরেছে বিভিন্ন খুচরা বাজারে।

আজ শনিবার সকালে নগরীর পাইকারী আলুর আড়ত ফরিয়া পট্টির আড়তদাররা জানিয়েছেন, সরকার আলুর দাম বেঁধে দেওয়ার পর কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির জন্য চাঁপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু বরিশালের ব্যবসায়ীরা সেই দামে আলু বিক্রিতে অসম্মতি জানালে আলু সরবারহকারী ব্যবসায়ীরা বরিশাল থেকে চলে যান। এতে করে দুইদিনে শুন্য হয়ে পরেছে আলুর আড়ত।

ফড়িয়া পট্টির আড়তদার দিনেশ চন্দ্র বলেন, বরিশালে আলুর কোল্ড স্টোরেজ নেই। সাধারণত মুন্সীগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে আলু আসে বরিশালের বাজারে। সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আমরা সেই দামে বিক্রি করতে চাইলে মুন্সীগঞ্জের ব্যবসায়ীরা সকলে বরিশাল থেকে চলে গেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারী বাজারে আলুর দাম এখনো নিয়ন্ত্রনহীন। সরকার কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে। খুচরা পর্যায়ে তা সর্বোচ্চ ৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু কোল্ড স্টোরেজ থেকে ন্যূনতম ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু বরিশালের আড়তদাররা এতে রাজি না হওয়ায় সরবরাহ ঠিক না থাকায় আড়তগুলো আলু শুন্য হয়ে পরেছে।

বরিশালের আড়তগুলোতে আলু শুন্য হয়ে পরার সত্যতা স্বীকার করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, আশা করছি ২/১ দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তারপরেও যদি আলুর সরবরাহ কমে যায়, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩)