নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় আশ্রয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ হওয়া ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য সামসুন্নাহার ও রফিকুল ইসলামের নামে। উপজেলার মহানগর নিচপাড়া গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের এ ঘটনায় মান্দা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। ঘটনায় আদুরী বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আদুরী বেগম উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের মহনগর নিচপাড়া গ্রামের উজ্জল হোসেনের স্ত্রী। 

অভিযুক্ত সামসুন্নাহার ভারশোঁ ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য এবং রফিকুল ইসলাম মহানগর নিচপাড়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে। রফিকুল ইসলাম ভারশোঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ব্যক্তিগত সহকারী।

গ্রেপ্তার আদুরীর স্বামী উজ্জল হোসেন দাবি করেন, মেম্বার সামসুন্নাহার ও রফিকুল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ঘরটি কিনে নিয়েছেন। অভিযুক্তরা জোসনা বেগম নামে আরেক নারীর ঘরটি ৭০ হাজার টাকায় আব্দুর রাজ্জাকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শহিদা বেগম বলেন, ‘আমার বড়ছেলে হাবিবুর রহমান অসুস্থ হওয়ায় গত ১০ আগস্ট তাকে দেখার জন্য পাকুড়িয়া গ্রামে যাই। সেখানে অবস্থানকালে জানতে পারি আমার ঘরের তালা ভেঙে আদুরী বেগম নামে এক নারী দখল করে নিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এসি ল্যান্ড স্যারকে জানাই। তিনি থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সামসুন্নাহার বলেন, আমি টাকা নিয়ে কারও কাছে ঘর বিক্রি করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী বলেন, মহানগর নিচপাড়া গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের তিনটি ঘরের তালা ভেঙে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারী মামলা করেছেন।

এসি ল্যান্ড আরও বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর যোগ্য নয়। এখানে কেউ যদি অনৈতিক সুবিধা লাভের চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে দায়ভার তাকেই নিতে হবে।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দখলের ঘটনায় ভুক্তভোগী শহিদা বেগম মামলা করেছেন। মামলায় আদুরী বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(বিএস/এসপি/আগস্ট ১৬, ২০২৩)