নিউজ ডেস্ক : গত বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির রায় দিয়েছে। এ রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে হরতাল ডাকলেও এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্বাধীনতা পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন।

শুক্রবার বাংলাদেশের একটি ইংরেজি গণমাধ্যমে নিজামীর রায় নিয়ে মাহফুজ আনামের নিজের কলাম প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনেক দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছে এ জন্যে তিনি প্রশংসার যোগ্য।

এতে আরও বলা হয়েছে, এটি প্রতিশোধ নয়, এটি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও নয়। এ রায়ে আসামির যথাযথ শাস্তি হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতিফলন ঘটেছে। এতে মানবাধিকারের প্রতি যথাযথ মূল্য প্রদর্শন করা হয়েছে।

মতিউর রহমান নিজামী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে কাজ করেছেন। সে সময় তার বয়স ছিল ২১ বছর। এখন তার বয়স ৭১ বছর। সবরকম সংজ্ঞার দিক থেকে তখন তিনি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। তখন তিনি যে নৃশংশতম কাজ করেছিলেন তাতে সাধারণভাবেই তার এটিই প্রাপ্য ছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতাকেই চেয়েছিল এবং সেজন্যে মরণপণ লড়াই করেছিল। কিন্তু তিনি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। সেসময় স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণ, গণহত্যা ও নৃশংশ নির্যাতন চালিয়েছিলেন যাকে বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়।

এই লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা সাধারণত কারও মৃত্যুর রায়ে আনন্দ করি না। কিন্তু আমরা সে ব্যক্তির নৃশংশ অপরাধের কারণে এটি করতেই পারি। কারণ তিনি যে অপরাধ করেছেন পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে কোনও অনুশোচনা করেননি।

এতে আরও বলা হয়েছে, যদিও আমাদের দেশ যুদ্ধাপরধীদের বিচারের বিষয় নিয়ে কিছু মহলের দ্বিধা রয়েছে তবুও সমগ্র বাঙালি জাতিই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।

এই লেখায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখনও সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পারেনি। তবে এতে এটি ভাবার কোনও সুযোগ নেই যে, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

তবে একজন যুদ্ধাপরাধীকে কি করে বেগম খালেদা জিয়া তার সরকারের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই লেখাটিতে। এতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অপমান করা হয়েছে বলে ওই লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ৩১, ২০১৪)