সাপাহারে আদিবাসী পাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন, আত্মহত্যার হুমকি
নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে এক আদিবাসী পল্লীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন চলছে। অনশনকারী প্রেমিকা চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুুর উপজেলার টমপাড়া গ্রামের মৃত হরিচন্দ্র লাকড়ার মেয়ে নদীনা লাকড়া (১৮) বলে জানা গেছে।
প্রেমিকা নদীনা জানান, গত ২বছর পূর্বে সে সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া বিরামপুর আদিবাসী গ্রামে এক মেলা দেখতে এসে ওই গ্রামের রগনা এক্কার ছেলে দিলিপ এক্কার সাথে পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে সে পরিচয় প্রেমে পরিণত হয়।
নদীনা আরোও জানান যে, দিলিপ তাকে বিয়ে করার কথা দিয়ে দুই বছর ধরে যখন তখন তার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত ব্যবহার করতে থাকে। অবশেষে জুলাই মাসের প্রথম দিকে দিলিপ গোমস্তা পুরের টমপাড়ায় গিয়ে তাকে বিয়ে করার কথা বলে তাদের বাসায় তার সাথে রাত্রি যাপন করে সকালে পালিয়ে আসার চেষ্ট করলে ওই গ্রামের লোকজন তাকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে সে তার কিছু জামা কাপড় সেখানে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে আসে, ফলে প্রেমিকা নদীনা লাকড়া শনিবার দুপুরে বিরামপুর আদিবাসী পাড়ার দিলিপ এক্কার বাসার সামনে এসে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসেন। রাত্রী ১০টার দিকে সংবাদ পেয়ে গোয়ালা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারদেকে নিয়ে প্রেমিক দিলিপ এক্কার বাসার সামনে এক দরবারে বসেন।
এসময় দিলিপ এক্কা বাসায় না থাকায় বিষয়টির কোন নিষ্পত্তি করতে না পেরে রাতে মেয়েটির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে চেয়ারম্যান নদীনা লাকড়াকে ওই গ্রামের তার এক আত্মীয় পুষনার বাড়ীতে পুষনার জিম্মায় রাখেন। রবিবার সকালে সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে অনশনকারী নদীনা লাকড়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান যে দিলিপ এক্কা আমাকে বিয়ে করার কথা বলে আমাকে নষ্ট করেছে এবং এখন বলছে সে আমাকে বিয়ে করবেনা। আমি তাকে বিয়ে করার জন্য গোমস্তাপুর হতে এখানে এসেছি বিয়ে করেই বাসায় ফিরব নতুবা এখানের তার বাসার সামনে আতœহত্যা করে এ জীবনকে শেষ করে দিব।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, তিনি ঘটনার কথা শুনেছেন তবে এবিষয়ে তার করার কিছুই নেই। মেয়েটি যে হেতু গোমস্তাপুর থানা এলাকার তাই তাকে সেখানেই গিয়েই আইনের আশ্রয় নিতে হবে বলে জানান। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান রাতে যেহেতু বিষয়টির কোন নিষ্পত্তি হয়নি তাই বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যার দিকে আবারো এক দরবারে বসবেন বলে জানিয়েছেন।
(বিএস/এসপি/জুলাই ১৬, ২০২৩)