রাণীনগরে উন্মুক্ত স্থানে পোল্ট্রি মুরগির উচ্ছিষ্টের ভাগাড়, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ
নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে দীর্ঘদিন যাবত উন্মুক্ত স্থানে পোল্ট্রি মুরগির উচ্ছিষ্ট অংশ রাখায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। প্রতিনিয়তই এই উন্মুক্ত স্থানে ময়লার ভাগাড়ের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন পশু ও পাখির মাধ্যমে উচ্ছিষ্ট অংশগুলো একস্থান থেকে অন্য স্থানে ছিটিয়ে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। রাস্তাদিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্গন্ধের কারণে নাক বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে বাতাসের সঙ্গে যখন এই ভাগাড়ের দুর্গন্ধ মিশে যায় তখন আশেপাশের জনবসতি স্থানগুলোতে অবস্থান করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবুও একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে পোল্ট্রি মুরগির উচ্ছিষ্টসহ অন্যান্য ময়লা রাখার স্থান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোন সুদৃষ্টি নেই।
দেখা যায়, নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর দিকের ব্রীজ সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে রাখা হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগির উচ্ছিষ্ট। রাণীনগরের ঐতিহ্যবাহী কালীবাড়ি হাটে মুরগি ক্রেতাদের কাছে বিক্রির পর যে সকল উচ্ছিষ্ট থাকে সেগুলো রাখার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই। ফলে ব্যবস্থায়ীরা এই নির্জন স্থানটিকে ময়লা রাখার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছেন। প্রথম দিকে এই স্থানে হাঁসের পালক ব্যবসায়ীরা তাদের উচ্ছিষ্ট ময়লা এখানে রাখতেন। পরবর্তিতে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় মুরগির উচ্ছিষ্ট অংশগুলোও এখানে রাখা শুরু করে ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে কালীবাড়ি হাটের পোল্ট্রি মুরগিসহ অন্যান্য মুরগির সকল উচ্ছিষ্ট অংশ এই স্থানে রাখা হচ্ছে। কালীবাড়ি হাটে সরকারের পক্ষ থেকে হাটের ময়লা-আর্বজনা রাখার নির্দিষ্ট কোন স্থান না করায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই এই স্থানে ময়লা-আর্বজনা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ী আসলাম হোসেন জানান, আমরা সরকারকে খাজনা দিয়ে বাজারে ব্যবসা করছি। প্রতিবছর সরকার এই কালীবাড়ি বাজার থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও বছরের পর বছর বাজারের অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন নেই। ময়লা-আর্বজনা রাখার কোন নির্দিষ্ট স্থান এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। তাহলে মুরগিসহ বাজারের অন্যান্য উচ্ছিষ্ট অংশগুলো আমরা কোথায় ফেলবো। বাধ্য হয়েই রেললাইনের পাশে ফেলছি। দিন দিন যে ভাবে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে তাতে করে উচ্ছিষ্ট অংশেরও পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুতই একটি বড় স্থানে মানসম্মত ডাস্টবিন তৈরি করতে হবে। তা না হলে একসময় পরিবেশ চরম ক্ষতিরমুখে পড়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন ডাস্টবিন তৈরির জন্য বাজার সংলগ্ন স্থানে কোন জায়গা না পাওয়ার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে একটি জায়গা খুজে দেখতে বলেছি। জায়গা পাওয়া গেলেই ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য একটি ডাস্টবিন নির্মাণ করে দেয়া হবে।
(বিএস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০২৩)