বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র ভাঙচুরের ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির নিন্দা
জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের জামালখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংবলিত আলোকচিত্রী ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি (জামুকা নিবন্ধন নং-১৬৩/২০১৩)।
শনিবার (১৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শুধু দেশের নেতাই নন, তিনি বিশ্ব নেতা। যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হতো কিনা তা সন্দেহ আছে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। দীর্ঘ টানা ৯ মাসের যুদ্ধে ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হানি আর ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই সোনার বাংলার বিজয়। কিন্তু আমাদের বিজয়ের ৫১ বছর অতিক্রান্ত হলেও, স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি প্রেতাত্মা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দুর্ভাগা এই জাতি স্বাধীনতার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে প্রতিনিয়ত।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমান হয়েছে সেই কুচক্রী মহল এখনো এই দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা স্বাধীনতা ভোগ করছে ঠিকই কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনে যাদের অসামান্য অবদান রয়েছে তাদের ভূমিকার কথা স্বীকার করতে চায়না।
বীর মুক্তিযোদ্ধার বেঁচে থাকতে এধরণের অপকর্ম মেনে নেবেনা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা এই ঘৃন্য কাজের সাথে জড়িত দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান উদ্দিন খাঁন, সাধারন সম্পাদক-বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো.জহিরুল হক এবং সংগঠনের আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসানুল আলম মিথুন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, জণগনের কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ্যোন্নয়নেও কাজ করেছে তাই একটি চক্র এসব উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে দেশকে অস্থীতিশীল করতে নানাভাবে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এসব চক্রান্তকারীদের সমাজ থেকে বিতারিত করতে হবে।
উল্লেখ্য গত ১৪ জুন (বুধবার) নগরের কাজির দেউড়ি মোড়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশে যাওয়ার পথে চকবাজার চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের দাবি, এ সময় জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন যুবদল কর্মীরা। এই ঘটনায় বিএনপি এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫৩৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে সিএমপির কোতোয়ালী ও চকবাজার থানায় পৃথক ২টি মামলা করা হয়েছে।
(জেজে/এসপি/জুন ১৭, ২০২৩)