পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্র
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে বাগেরহাটের শরণখোলার বলেশ্বর নদী তীরের রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি। দেশের নতুন এই পর্যটক কেন্দ্রটিতে একসাথে বলেশ্বর নদীর হোমনায় বঙ্গোপসাগর বিশাল জলরাশি, নৌভ্রমন, নীল আকাশ, সুর্যাস্ত দেখাসহ সুন্দরববনের প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে প্রতিদিনই পর্যটকের ঢল নামছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে ঈদের ছুটিতে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে ১ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে।
সুপার সাইক্লোন সিডরের মৃত্যুকূপ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলাবাসিকে ঝড়-জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষায় সরকার বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বলেশ্বর নদীর তীরে কনক্রিটের ব্লক দিয়ে উচু করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান করেছে।১২ কিলোমিটার লম্বা বলেশ্বর নদীর তীরে বরুাইতলা থেকে চান্দ্রেশ্বর পর্যন্ত ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে উপজেলা প্রশাসন ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে কনক্রিটের ব্লকে দৃষ্টিনন্দন রং করে বেঞ্চ, দোলনা, বীচ খাট, ছাতাসহ নানান প্রকার বিনোদন সামগ্রী তৈরী করে শরণখোলার বলেশ্বর রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলে।
বলেশ্বর নদীর হোমনায় বঙ্গোপসাগর বিশাল জলরাশি, নৌভ্রমন, নীল আকাশ, সুর্যাস্ত দেখাসহ সুন্দরববনের প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে নতুন এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন হাজার হাজার পর্যটক। পর্যটকরা পাচ্ছেন কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সীবিচের ছোয়া। স্পীড বোটে করে ১০ মিনিটে সুন্দরবনে যাওয়া যাচ্ছে। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য রয়েছে ঘোড়ারগাড়ি, নৌভ্রমনে জন্য রযেচে নৌযান ও স্পিডবোট। দূর দূরন্ত থেকে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি ঘিরে তৈরি হয়েছে ইকো-প্যারাডাইস নামে একটি আধুনিক মানের রেস্টুরেন্ট ও রিসোর্ট। স্থানীয় প্রশাসন বলছে ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো হাজার হাজার পর্যটক আসছেন শরণখোলার বলেশ্বর রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা থেকে আসা শামীম হাসান ও রুমানা আহমেদ দম্পতী জানান, শরণখোলার বলেশ্বর রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি অনলাইনে দেখে দেখতে আসলাম। দেশের নতুন এই পর্যটন কেন্দ্রটি বঙ্গোপসাগর হোমনায় বলেশ্বর নদীর ঢেউ, নৌভ্রমন, নীল আকাশ, স্পীড বোটে করে সুন্দরববনের প্রানপ্রকৃতি দেখলাম। এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে এসে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সীবিচের ছোয়া পেরাম। বাচ্চা ছেলেসহ পরিবারের সবাই খুবই আনন্দ করলাম। সুর্যাস্ত দেখে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যাব। এমন অনুভুতির কথা জানারেন রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক রাকিব হোসেন ও ঝালকাঠি থেকে পরিবারসহ আসা কামাল আহমেদ সজিব।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকি জানান, শরণখোলার বলেশ্বর নদীর তীরকে পর্যটন বান্ধব হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশের নতুই এই পর্যটন কেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মান কাজ এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ পর্যটক বলেশ্বর রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটিতে আসছে। ঈদের ছুটির তিনদিনে এক লাখেরও বেশি দর্শনার্থী এসেছে। ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো হাজার হাজার পর্যটকট আসছে। শিগ্রই মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করা হবে। দৃষ্টিনন্দন পাবলিক টয়লেট করা হবে। এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে এসে পর্যটকরা কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সীবিচের ছোয়া পাচ্ছেন।
(এস/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০২৩)