আঞ্চলিক ভাষায় লেখা এনামুল হকের ‘ঝিনুক ভাষায় গল্পকথা’
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : লালন শাহ তার এক গানে বলেছিলেন “মনের ভাব প্রকাশিতে, ভাষার সৃষ্টি এই জগতে, আচানক অধরকে চিনতে, ভাষা বাক্যে নাহি পাবে”। লালন শাহের জন্মস্থান সেই হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তরুণ কবি এনামুল হক ২১শে বই মেলায় প্রকাশ করেছেন তার মেধা ও সৃজনশীলতায় লেখা “ঝিনুক ভাষায় গল্পকথা” বইটি। বইটির নতুনত্ব হচ্ছে এটি সম্পুর্ন আঞ্চলিক ভাষায় লেখা। ঝিনাইদহের গ্রামাঞ্চলে উচ্চারিত আঞ্চলিক শব্দ দিয়ে লিখিছেন ১৬টি মজাদার গল্প। এই গল্প পড়লে দেশ বিদেশে থাকা মানুষ ফিরে যাবে তাদের হারানো কৈশরে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বা অঞ্চল আঞ্চলিক ভাষা দ্বারা প্রভাবিত। মায়ের মুখ থেকে যে ভাষা শিশুরা শিখে আসছে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির দৈনন্দিন ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষা এই বইয়ে স্থান পেয়েছে গল্প আকারে। বইটির চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন মনিরুজ্জামান পলাশ।
‘পথ প্রকাশন’ থেকে শৈলকূপার আলমগীর অরণ্য 'ঝিনুক ভাষায় গল্পকথা' বইটি প্রকাশ করেছেন। তরুণ কবি ও ব্যাংকার এনামুল হক ১৯৮৬ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার যাদবপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। সদর উপজেলার নগরবাথান হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে তিনি ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবন শেষ করে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ করে ২০১৬ সালে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে যোগদান করেন। চাকরী জীবনের পাশাপাশি তিনি সাহিত্য চর্চা করে এই তরুণ বয়সে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এনামুল হক আঞ্চলিক ভাষায় গল্প লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বৃহত্তর প্লাটফর্ম ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশনের অন্যতম লেখক ও সদস্য। আঞ্চলিক শব্দ চয়নে লেখা তার গল্পগুলো দেশ বিদেশে থাকা ঝিনাইদহের বাসিন্দাদের প্রবল ভাবে অনুপ্রাণিত করে।
'ঝিনুক ভাষায় গল্পকথা' বইটি নিয়ে ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল ও সাধারণ সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এনামুলের বইটি পড়লে হারিয়ে যাওয়া অনেক ভাষা আমরা খুঁজে পাবো। তাই এই বইটি ঝিনাইদহের মানুষের একটি অমুল্য সম্পদ বলে আমাদের সংগঠন মনে করে।
(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩)