দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে শুরু হয়েছে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ। ফরিদপুরের পাঁচ জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসেছেন। দৃশ্যত  মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও সেই পরিমাণ লোক হয়নি। সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলঙ্গীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিএনপির জনসমাবেশে নিজস্ব নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘটেছে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা।

এদিকে শনিবার সকাল ১১টার পর থেকে সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না। এতে স্থানীয়রাসহ আশপাশের অনেক জেলা থেকে সমাবেশে আসা লোকজন এতে সমস্যায় পড়েছেন। ভার্চুয়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফরিদপুর।

সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, সকাল থেকে সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বসে আছেন তারা। হঠাৎ করেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিউজ পাঠাতে পারছেন না। ইন্টারনেট সচল না হওয়া পর্যন্ত সমস্যার শেষ নেই।

স্থানীয় ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফরিদপুল কেবল নেটওয়ার্কের প্রধান শাহিন মিয়া বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হয়নি, স্বাভাবিকই রয়েছে। তবে মোবাইল ডাটা বন্ধ রয়েছে।’

একই সঙ্গে চলছে জেলা পরিবহন ঐক্য পরিষদের ডাকা বাস ধর্মঘট। এতেও ভোগান্তির শেষ নেই জনসাধারণের। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সকাল থেকেই হেঁটে, মোটরসাইকেলে চড়ে, বাইসাইকেলে করে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা গেছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর সমাবেশের সমন্বয়ক শামা ওবায়েদ দাবি করেছেন, সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছে। ফরিদপুর বিভাগের বাইরে থেকেও বিএনপি কর্মীরা এসেছেন।

শামা ওবায়েদ অভিযোগ করেন, ‘নেতাকর্মীদের আসতে পথে পথে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে। এর মধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।’

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজ করেই সময় পাই না, তাদের হয়রানি করব কিভাবে? এ রকম কোনো কিছুই আমরা করছি না। আমাদের কার্যক্রম যেগুলো চলছে, সেগুলো নিয়মিত মামলা, ওয়ারেন্টের মামলার আসামির বিরুদ্ধে, তার বাইরে কিছু না।’

(ডিসি/এএস/নভেম্বর ১২, ২০২২)