যুক্তরাষ্ট্রে 'পেশাদার খুনি'র রেকর্ড গড়লেন ডোনাল্ড স্টাডি
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছরে ৭০ নারীকে নারীকে হত্যা করে 'মার্কিন পেশাদার খুনি'র রেকর্ড গড়লেন আইওয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি। তার মেয়ে নিজের বাবার বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয় মৃতদেহগুলো মাটির নিচে পুতে ফেলতেও অভিযোগকারী নারী ও তার ভাইবোনরা সাহায্য করেছেন বএ তিনি উল্লেখ করেন।
যদি এই নারীর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খুন করার রেকর্ড গড়বেন ডোনাল্ড ডিন স্টাডি। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
নিউজ উইকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারী ওই নারীর নাম লুসি স্টাডি। তিনি নিউজউইককে বলেন, আমি জানি কোথায় লাশগুলোকে কবর দেওয়া হয়েছে। লুসি জানান, তার বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি প্রায় ৩০ বছর ধরে অন্তত ৭০ জন নারীকে খুন করেছেন। শুধুমাত্র খুনই নয়, তাদের দিয়ে সেই মৃতদেহ কবরও দেওয়াতেন।
প্রাথমিকভাবে দেশটির স্থানীয় পুলিশের অনুমান, মূলত যৌনকর্মীদের খুন করা হত। নানাভাবে লোভ দেখিয়ে এই নারীদের নিজের বাড়িতে ডেকে আনতেন ডোনাল্ড। তারপরেই খুন করতেন তাদের।
লুসি আরও জানান, তার বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি ২০১৩ সালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান। তিনি বলেন, ভারী জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হত ওই নারীদের। তারপরেই ছেলেমেয়েদের ডেকে নিতেন ডোনাল্ড। ঠেলাগাড়িতে সেই মৃতদেহ তুলে নিয়ে কুয়োর মধ্যে বা পাহাড়ে ফেলে দেওয়া হত।
ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে লুসি জানান, বাবা শুধু বলতেন, কুয়োর কাছে চলে যাও। এরপরেই আমরা বুঝে যেতাম কী করতে হবে। কোন জায়গায় মৃতদেহগুলো পোঁতা হয়েছিল, সেই জায়গাটিও দেখিয়ে দিয়েছেন লুসি। শুধুমাত্র প্রাণের ভয়ে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেননি বলে জানান।
এ ছাড়া লুসি বলেন, অনেক লাশ ১০০ ফুট কুয়োর মধ্যে দাফন করা হয়। তবে তার বাবা মৃতদেহগুলোর সোনার দাঁত ট্রফি হিসেবে রেখে দিতেন বলে জানান তিনি।
তবে এসব অভিযোগ নিয়ে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। স্থানীয় পুলিশের প্রধান কেভিন এইস্ট্রোপ বলেছেন, আপাতত ওই জায়গায় কুকুরদের নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই জায়গাটিতে সত্যিই প্রচুর মৃতদেহ রয়েছে। কিন্তু এখনই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি এই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সর্বাধিক খুনের অভিযোগ থাকবে ডোনাল্ডের নামে।
(ইএ/এএস/অক্টোবর ২৮, ২০২২)