সরকারের উন্নয়নের আরেক ধাপ
এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের কাজ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর উপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যেই ওই সেতুর উপর প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছে। আরও একটি স্প্যান চলতি মাসের শেষের দিকে বসানো হবে এবং আগামী মাসে ৩ নম্বর স্প্যান বসানো হবে। তবে এ সেতু নির্মাণ কাজ এখন দৃশ্যমান হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান দৈনিক বাংলা৭১কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকার ২০১৬ সালে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয় এবং সেতুর জরিপ ও অনান্য কাজ শেষে দরপত্র আহবান করা হয়। এ দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু করে এবং ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এ প্রকল্প কাজের ৪৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৩৪.৬১ শতাংশ। গত ২০ আগষ্ট একটি স্প্যান বসানো হলেও প্রকল্পে পৌঁছেছে ১০টি স্প্যান। আরো ২০টি স্প্যান নির্মাণ পর্যায়ে রয়েছে এবং এ সেতুর স্প্যানগুলো ভিয়েতনামে তৈরি করা হচ্ছে। সেতুর মোট ৫০টি খুঁটির মধ্যে ৮টির কাজ শেষ। আরো ৩০টির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেতুর ৫০টি খুঁটির মধ্যে ২৩টি পশ্চিমাঞ্চলে, বাকি ২৭টি প‚র্বাঞ্চলে পড়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় নদী শাসনের কাজ চলছে। ৪৩১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এ পর্যন্ত। সেতুর দুই পাশের সংযোগ বাঁধের নির্মাণসহ অনান্য কাজও চলছে। এ সেতুটি ব্যায়ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা এবং প্রথম সংশোধনীর পর সেতুর প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এরমধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকবে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দেবে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এ সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৮০ কিলোমিটার। তবে দুই পাশে .০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়াল সেতু), ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ সড়ক (সংযোগ বাঁধ) থাকবে। আর লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
এ রেল সেতু চালু হলে প‚র্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের আরো পরিবর্তন ঘটবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে বর্তমানে এক লাইনের রেল ট্র্যাক আছে। এ লাইন দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করে। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে ডুয়েল গেজ রেল সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। এ সেতুতে ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে। এ বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু হলে অবাধে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।এ সেতুতে ব্রড গেজ ট্রেন প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ ট্রেন ১০০ কিঃ মিটার গতিতে চলবে এবং উভয় অঞ্চলে আরো অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
(এমএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২)