সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবিতে চিৎমরমে আ.লীগ এর সংবাদ সম্মেলন
রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম ইউনিয়নে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও দুর্গম চাকুয়া পাড়া নামক এলাকায় স্থায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে কাপ্তাই উপজেলা আ.লীগ ও চিৎমরম ইউনিয়ন আ.লীগ যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টায় দিকে চিৎমরম বাজার সম্মুখ সড়কে পাশে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৩ নং চিৎমরম ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়েশ্লি মং চৌধুরী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুই ছাইন চৌধুরী উপস্থিত থেকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, আমরা অত্যন্ত ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি যে, গত রবিবার (২৮ আগস্ট) পৌনে দুইটা সময় জেএসএস এর ১০ জন অস্ত্রধারী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ০৩নং চিৎমরম ইউনিয়ন শাখার ০৩ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি উক্যাসিং মারমা প্রকাশ রানাকে বেদম প্রহারের মাধ্যমে আহত করা হয়। ইতিপূর্বে এই সন্ত্রাসী গত ০১ এপ্রিল ২০২০ তারিখ মধ্যরাতে ০৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি উসুইপ্রু মারমাকে গুলি করে হত্যা, গত ১৭ ডিসেম্বর তারিখ ০২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পাইউ খই মারমাকে অপহরণ করে গুম করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, চিৎমরম বসবাসকারী সাধারণ জনগনের ভয় দুর করার জন্য নতুন সেনাবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই। তা না হলে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়, এর পূর্বেও উগ্রপন্থি অবৈধ অস্ত্রধারী আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সশস্ত্র অনেক হামলা, অপহরণ, গুম, হত্যা, মুক্তিপন আদায় সহ জোরজুলুম ও সন্ত্রাসী কমর্কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তা আরো দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পাবে বলে শংকা প্রকাশ করেন।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও কাপ্তাই উপজেলা আঃলীগ সহ-সভাপতি থোয়াইচিংমং মারমা তিনি বলেন, এলাকার মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে একটি স্থায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের আবেদন জানিয়ে দেয়া আছে অনেক দিন আগে থেকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, এটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি আরো বলেন, যুগ যুগ ধরে চিৎমরম এলাকায় আদিবাসী মারমা সম্প্রদায়ের(ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি) ও বাঙ্গালীরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে কিন্তু ইদানিং কিছু আঞ্চলিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে। সন্ত্রাসী গ্রুপটি প্রকাশ্যে নিরীহ জনসাধারণ ও ব্যবসায়িক মালিকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে।
ফলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে। এখানে প্রত্যক সাধারণ জনগণ খুব ভাল পরিশ্রমি তারা বসে থাকেনা শরীরে যতক্ষণ রক্ত থাকবে ততক্ষণ তারা কাজ করে জীবিকা নির্বাহক করে খাবে তারপরেও কারো কাছ থেকে তারা ভিক্ষা করবেনা।
সন্ত্রাসী গ্রুপের নির্যাতনে হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চিৎমরম এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে।
সেসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আব্দুল হাসেম, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই হা চিং মারমা, আচিপ প্রু মারমা, উক্যসাই মারমা, মিনুপ্রু মারমা, সিরাজুল হক, মেচিংপ্রু মারমা, জয়নাল আবেদীন , রফিক উদ্দিন, হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
(আরএম/এএস/আগস্ট ২৯, ২০২২)