ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চলছে তীব্র দাবদাহ। গত এক সপ্তাহজুড়ে এমন দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনে সূর্য্যের প্রখর তাপে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। শহর এবং গ্রামের রাস্তায় কমেছে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল।

দাবদাহের অসহনীয় গরমে মানুষের সঙ্গে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পশুপাখিসহ অন্যান্য প্রাণিক‚ল। সকলেই খুঁজছে একটু স্বস্তির ঠাঁই। একপলশ বৃষ্টি কিংবা শীতল হাওয়ার পরশ পেতে ব্যাকুল সকলে। কিন্তু মিলছে না সে স্বস্তি। ভরা বর্ষায় পানি শূন্য হয়ে পড়েছে পুকুর, ডোবাসহ নিচু এলাকা। বৃষ্টির পানি অভাবে আমন আবাদে নামতে পারছেন না কৃষকরা।

এদিকে বেশ কিছুদিন ছুটির পর গতকাল শনিবার স্থানীয় কলেজগুলো খুলেছে। কিন্তু স্বাভাবিতের তুলনায় অনেক ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিল। এর একমাত্র কারণ প্রচণ্ড দাবদাহ বলে দাবি করেছেন ফুলবাড়ী শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিল্লুর রহমান।

রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফুলবাড়ী শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দেখা যায় একবারেই ফাঁকা। স্বাভাবিক অবস্থায় সড়কগুলোতে যানবাহন ও পথচারীর চাপ থাকলেও সীমিত সংখ্যক যানবাহন ও পথচারীকে চলাচল করতে দেখা গেছে। নিরূপায় অনেক পথচারী স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করেছেন ছাতার ছায়াতলে।

পৌর শহরের বেসরকারি চাকরিজীবী মঞ্জুরুল হক (৪৫) বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে গরমে অস্থির অবস্থা। এমন গরমে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই ছাতা নিয়ে বের হয়েছি ওষুধ কেনার জন্য।

উপজেলার আলাদিপুর গ্রামের কৃষক তারাপদ রায় বলেন, এখন আমনের চারা লাগানোর সময়। বৃষ্টির অভাবে জমির পানি শুকিয়ে গেছে। নিচু জমিতে পানি থাকলেও প্রচণ্ড রোদে কাজ করা যাচ্ছে না। সূর্য্যরে তাপে শরীরের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। সকালের দিকে কাজ করা গেলেও ১১টার পর জমির পানি গরম হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

গতকাল শনিবার দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তা জানার জন্য দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেনকে অন্তত ১০ বার তার মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও ফোনের রিংটন বাজলেও তিনি ফোনটি গ্রহণ করেননি। এ কারণে তারমাত্রার বিষয়টি জানা যায়নি।

(এজি/এএস/জুলাই ১৭, ২০২২)