গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ৬১২টি ঘর পাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬১২ টি পরিবার। ভার্চয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলার ৬১২টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে একটি করে ঘর ও ২শতাংশ জমি প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর ও জমি বিতরণ অনুষ্ঠান গোপালগঞ্জে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ঘর বিতরণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন  করেছে জেলা প্রশাসন।

এ উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. উসমান গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা) মোসাম্মৎ সাজমুন্নাহার ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ইতিমধ্যে ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। জমির বন্দোবস্ত ও কবুলিয়ত সম্পাদন সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় ৬১২টি পরিবারকে ৬১২টি ঘরের সাথে ১২.২৪ একর জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। এ জেলার ৫ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুধীজন, সাংবাদিক, উপকারভোগী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে এসব বিতরণ করবেন । বিটিভি সরাসরি এ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে জমির কবুলিয়ত, নামজারি পর্চা, ডিসিআর ও সার্টিফিকেট হস্তান্তর করা হবে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্কে বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য পান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন অখ্যা “ক শ্রেণির ৩৩১১ টি পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে ১ম পর্যাৃয়ে ৮৫৬ টি ও ২য় পর্যায়ে ১১৫৭ টিসহ ২০১৩ টি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন ৩য় পর্যারয়ে ৬১২ টি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। ৩য় পর্যায়ে আরো ৪৬১ টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, গোপালগঞ্জ জেলায় ৩য় পর্যারয়ে ৫টি উপজেলায় ৬১২টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৯৩টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ৪৬টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৫টি এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮টি রয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে সদর উপজেলার ৪৯৩টি ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর ৪৯৩টি পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে।



(টিকেবি/এএস/এপ্রিল ২৫, ২০২২)