শাহ মাইদুল ইসলামের চারটি কবিতা
হৃদয়ের বোন
বোনেরা শাড়ি পড়ে এখানটায় দাড়ালে
তারা স্থির ছবি পেতে চায় মনে হয়
বড় ভালো মৃদু-মন্দ হাওয়ার ব্যাবহারে
বড়ইয়ের পাতাগুলো কত সহজ উড়ছে
সদর দরোজা থেকে আমাদের মা
হাসিমুখ পত্রালি জড়ো করে চলছেন
বাড়ীতে আছে এক কাগজি লেবুর ঘ্রান
মগজ খুশীর ভাব টেনে জড়ো করলে
অত্যুজ্জ্বল হৃদয়ের বোনেরা পরপর ছবি
মূহুর্তগুলো শনাক্ত করে মূহুর্ত করে তুলছে
বোনেরা
আমরা বিচ্যুত হবো;- পিতাদের জানা
ঐ তথ্য
কার সঙ্গে দেখা হবে আমরা জানি কতটুকু আর
জানাই কতটুকু যে সহায় হবো, বোনেরা, বরং খাবি
খাবো, পরস্পর অসহায়ের মতো তাকাবো আমাদের দিকে।
এক সদ্যস্ফুট সূর্য তোমরা হাতে নিলে
বোকা জ্বলন্ত সূর্যটাকে পকেটছাড়া করিনি আর,
কতটা বোকা আমরা, পিতা তখন তখনই বুঝেছিলেন;
আমরা বোকার জাহাজ, বয়ে বেড়াই সূর্য্যের ভার।
ভেতরের প্রতিভা সকল, বোনেরা, জেনো
বাষ্পের মতো উড়ে গেলে আরো একটু নত হব
আমরা আমাদের দিকে।
তোমার আনন্দ হবো
শিশু সুন্দর তার আঙ্গুল জড়িয়ে রাখি দৃঢ় আঙ্গুলে
শিশুরা সুন্দর
আমার অক্টেপাস হৃদয়-
তার অনেক হাত অনেক হৃদয় আরো
বাড়ীতে আছে থাক তার গুনাগুনতি হয় না
ভেতরে ভাঁজ করা কাপড়ের চোখ জাগ্রত দেবতারা
প্রিয়, আমাদের বুড়ো হতে
হয় অন্তত বাতাসের ঘর্ষনে। যখন পাল্লা ভারী
-সেগুন কাঠের তখনও। সুন্দর!
অঙ্গুরীয় প’রো বড়ো হলে, সৌন্দর্য্য আঙ্গুলেও বাড়ে বৈকি।
এক এক করে শিশু তারা বিরাটের মত
বাড়ী বয়ে আসে নির্ধিদ্বায়
তাদের জড়ানোর কথা
তাদের জড়ানোর কথা নয়
-তেমন করে এক পাখি বলে ভ্রম হয় যেমন।
এক দূত তার কাজ নাই কোন জেনে আনন্দ হয়
তুমি শিশু আমার আনন্দ, আমি শিশু নয়
তবু তোমার আনন্দ হবো। অক্টোপাস হৃদয় সমেত-
অক্টোপাস হবো না, সমূদ্র হব
তেমন সমূদ্র যার একটা বাড়ী আছে অনায়াস শিশু ধারন করার মতো।
মৃত সহোদরার উদ্দেশ্যে
মৃত বোনকে মনে আসছে।
রূপ ছিল তার- আমার রূপসী
বোনটিকে মনে আসছে।
(আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী;
অথচ, মুখটি মনে করতে পারছি না।)
জোড়-ভ্রু আর কাজলপড়া
বিষন্ন
চোখদুটো নিয়ে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত বোন,
তুই আমার থেকে কতই না
সুন্দর ছিলি!
আমার মা বলেন,
সে ছিল সত্যিই সুন্দরী,
এবং ভাগ্যবতী; যেহেতু সে নেই এখন
আমাদের মাঝে, এবং
একদিন ছিল।
আমার সুন্দরী মৃত বোন,
ঐ আমার বুক পুড়ছে।