মাগুরা প্রতিনিধি :  সদর উপজেলার আলমখালি কৃষি ব্যাংকে ৪ কোটি টাকার শস্য গুদাম ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর হোসেন, মোকাদ্দেস হোসেন, সোনাউল্লাহ, কামাল মিয়া, নিখিল কুন্ডু, লিয়াকত মোল্যা, আব্দুল আজিজ নামে ভুক্তভোগী ৮ জন স্থানীয় কৃষক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মাগুরার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ মামুনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আমলখালি বাজারের সরকারি শস্য গুদামে উল্লেখিত কৃষকদের নামে ফসল মজুদ দেখিয়ে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অভিযুক্তরা আলমখালি কৃষি ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে জনপ্রতি ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করেন। বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগীরা কিছুই জানতেন না। সম্প্রতি তাদের বাড়িতে ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপির চিঠি গেলে তারা বিষয়টি অবগত হয়ে ব্যাংকে খোঁজ নেন ও জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তারা আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আলমখালি শস্য গুদামের রক্ষক সাখাওয়াত হোসেন, শস্য ঋণ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম, একই প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিন, আলমখালি কৃষি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক শ্যামল কুমার বিশ্বাসসহ ব্যাংক কর্মকর্তা খোন্দকার সাজেদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আশরাফুল মুন্সি, কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম, আসমত আলী ও অশোক বিশ্বসের নামে অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় আদালত আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কুমার চক্রবর্তীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আলমখালি বাজার শস্য গুদামের রক্ষক সাখাওয়াত হোসেন অন্যদের সহযোগিতায় হাজরাপুর ইউনিয়নের ৫ শতাধিক কৃষকদের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে আলমখালি বাজার কৃষি ব্যাংক থেকে সর্বমোট ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার ঋণ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন, যা তাদের অজানা ছিল। সম্প্রতি ব্যাংক থেকে স্থানীয় কৃষকদের কাছে ওই ঋণের টাকা আদায়ের নোটিশ গেলে বিষয়টি তাদের নজরে আসে। ফলে তারা ১১ সেপ্টেম্বর ওই জালিয়াতির ঋণ থেকে মুক্তিসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গৃহীত না হওয়ায় গতকাল তাদের মধ্যে উল্লেখিতরা আদালতের আশ্রয় নেয়।

(ডিসি/এনডি/সেপ্টেম্বের ১৯, ২০১৪)