পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউপির হলুদবাড়ীয়া দাখিল মাদরাসার শরীরচর্চা শিক্ষক সেলিম রেজা ও তার স্ত্রী একই মাদরাসার সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকা আমিনা খাতুনকে জালিয়াতির অভিযোগে গত ৩১ আগস্ট মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রাপ্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, আমিনা খাতুন বিগত ০৮/০৭/২০১৩ তারিখে মাদরাসার এবতেদায়ী শাখায় সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন। তার বেতন-ভাতা চালু করার স্বার্থে তার স্বামী একই মাদরাসার শরীরর চর্চা শিক্ষক সেলিম রেজা দুরভিসন্ধিমূলকভাবে মাদরাসায় কর্মরত সহকারী মৌলভী শিক্ষক মোঃ সায়েদুর রহমানের নামে ভূয়া পদত্যাগপত্র এবং ম্যানেজিং কমিটি ও সুপারের অজান্তে ভূয়া রেজুলেশনপত্র সৃজন করে সুপারের সহিস্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে তা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে দাখিল করেন। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে সহকারী মৌলভী শিক্ষক সাইদুর রহমানের চাকরী ও বেতন-ভাতা উত্তোলনে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত গড়িয়েছে।

এ বিষয়ে গত ৩১ আগস্ট সকালে হলুদবাড়ীয়া দাখিল মাদরাসায় পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আকবর আলী প্রামানিকের সভাপতিত্বে সভায় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় বিগত ৪/৭/২০১৩ তারিখের ভূয়া রেজুলেশন, সুপারের স্বাক্ষর জাল এবং মৌলভী শিক্ষক মোঃ সায়েদুর রহমানের ভূয়া পদত্যাগ সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি এবং শিক্ষা বোর্ডে দাখিল সংক্রান্ত কর্মকান্ডে শরীরচর্চা শিক্ষক সেলিম রেজার সম্পৃক্ততার অভিযোগে ওই শিক্ষক দম্পত্তিকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

এ ব্যাপারে মাদরাসা সুপারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষক দম্পত্তিকে সাময়িক বরখাস্তের কথা স্বীকার করেন। অপর দিকে শিক্ষক দম্পত্তি সেলিম রেজা ও আমিনা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।

(এমএইচ/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪)