৫ জুন, ১৯৭১
মুক্তিযোদ্ধারা মহামায়া বাজারের নিকট একটি সেতু ধ্বংস করে দেয়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদাহ, বশিরহাট ও বনগাঁর বিভিন্ন শরণার্থী মিবিরে মহামারী আকারে কলেরা দেখা দিয়েছে এবং কয়েকজন প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকায় সামরিক শাসক ২০নং সামরিক আদেশ সংশোধন করে ২৩নং সামরিক আদেশ জারি করেন। এ আদেশে ঘোষণা করা হয়, ‘যদি কোন সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তির চাকরির শর্তে অন্তর্ভূক্ত নাও থাকে তথাপি এ আদেশ বলে সামরিক কর্তৃপক্ষ বা প্রাদেশিক সরকার দেশ কিংবা দেশের বাইরে যে কোনো স্থানে তাকে পাঠাতে পারবে। এ আদেশ গত ২৫ মার্চ থেকে সবার জন্য অবশ্য পালনীয় হবে।’
সুবেদার পাটোয়ারীর দল পাকবাহিনীর লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে যোগাযোগ মধু রোডস্থ স্টেশনের নিকটে জমজমা রেলওয়ে সেতু ধ্বংস করে দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
মুক্তিযোদ্ধারা মহামায়া বাজারের নিকট একটি সেতু ধ্বংস করে পাকবাহিনী সড়কপথে চাঁদপুর-কুমিল্লা যোগাযোগ সম্পূর্ণ রূপে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
সোহরাওয়ার্দী-কন্যা বেগম আখতার সোলায়মান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন।বেগম আখতার সোলায়মান বলেন,‘অধিকাংশ আওয়ামী লীগের সদস্যরাই আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনার কথা জানতেন না।’তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জনগণ নির্বাচনের সময় অধিকতর শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ পাকিস্তান গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিলো।’ছয় দফার ব্যঅখ্যা করে তিনি বলেন,‘ছয়-দফা হচ্ছে অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিমাত্র। এ থেকেই আমার বিশ্বাস জম্মেছে যে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের অধিকাংশ সদস্য এক ও অখন্ড পাকিস্তানে বিশ্বাসী।’
পশ্চিম পাকিস্তান মুসলিম লীগের সেক্রেটারি জেনারেল খাজা মোহাম্মদ সফদর চট্টগ্রাম,কুমিল্লা,যশোর ও খুলনা সফর করে শান্তিবাহিনী গঠনের ভূয়শী প্রশংসা করেন।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান খান আবদুল কাইয়ুম খান এক বিবৃতিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (মুক্তিযোদ্ধা) নিশ্চিহ্ন করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী আবারও প্রমান করেছে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৈন্যদল।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/জুন ০৫, ২০২১)