৩১ মে, ১৯৭১
কুমিল্লার সিঙ্গারবিলে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : রাতে লে. মাহবুবের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা কুমিল্লার দক্ষিণে জগমোহনপুরে পাকসেনাঘাঁটির ওপর অকস্মাৎ আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য হতাহত হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার সিঙ্গারবিলে পাকসেনাদের ওপর এ্যামবুশ করে। এ আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়।
পাকসেনাদের দখলকৃত শালদা রেলওয়ে স্টেশনে সুবেদার আবদুল হক ভূঁইয়া নেতৃত্বে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল হানা দেয়। এ অভিযানে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়।
পাবাহিনীর একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুটি নামক গ্রামে হামলা চালায়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর একজন ড্রাইভার নিহত হয় এবং একটি জীপ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সভানেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সরকারের নীতি নির্ধারণী রাজনৈতিক কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়াদি ও তার ফলে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।
কৃষক শ্রমিক পার্টির প্রধান এ.এস.এম সোলায়মান পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেনেভা যাত্রা করেন।
কনভেনশন মুসলিম লীগের প্রাদেশিক সাধারণ সম্পাদক এ.এন.এম. ইউসুফ বলেন, ভারতীয় আক্রমণ থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানিরা প্রস্তুত। তারা আওয়ামী লীগের দেশভাগের উদ্দেশ্য উপলদ্ধি করতে পেরে এখন দলটি ফ্যাসিবাদী কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তান জমিয়তুল ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মওলানা হাজারভী ভারতীয় প্রচারণা মোকাবেলার উদ্দেশ্যে বিদেশে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান জানান।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/মে ৩১, ২০২১)