২৫ মে, ১৯৭১
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : রাতে মুক্তিবাহিনীর একটি দল বাটপাড়া জোরকাননের নিকট পাকবাহিনীর সৈন্যবাহী একটি ট্রাক ও একটি আর আর রাইফেল-এর জীপ এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ২০ জন সৈন্যসহ ট্রাক ও জীপ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়।
মুক্তিবাহিনীর ছোট একটি দল শালদা নদীর পাক অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এ অভিযানে পাকবাহিনীর একজন জেসিওএবং পাঁচজন সৈন্য নিহত হয়।
রাতে পাকবাহিনী ধরলা নদী পার হয়ে জয়মনিরহাট মুক্তি এলাকা দখলের জন্য প্রচন্ড গোলা বর্ষণ ও আক্রমণ চালায়।
পাকবাহিনী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়। পাকসেনার হামলায় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অবস্থান ছেড়ে দিয়ে সলপ স্কুলে আশ্রয় নেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত এমএনএ রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করে বিবৃতি প্রদান করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার শরণ সিং পার্লামেন্টে বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার বাঙালির সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আসার ফলে উদ্বাস্তু সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। পূর্ববঙ্গে নিরাপত্তার পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পাকিস্তান যদি রাজি না হয় তাহলে ভারত উদ্বাস্তু ও নিজ দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বিবেচনা অনুযায়ী যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সামরিক কর্তৃপক্ষ ২১ নং সামরিক অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে বাতিল করা হয় মিউনিসিপ্যাল কমিটি। জনপ্রতিনিধির জায়গায় ক্ষমতা নেয় সামরিক শাসনকর্তা ও তাদের মোননীত দালালেরা।
ঢাকায় সরকারি খবরে বলা হয়, ভোলা থেকে নির্বাচিত এমপিএ মোশাররফ হোসেন ওরফে শাহজাহান বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে পাকিস্তান সরকারের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যক্রমকে যুক্তিসঙ্গত অভিহিত করে িএ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বাধীনতা-বিরোধী আব্দুল মান্নানকে সভাপতি করে ভৈরবে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট ভৈরব শান্তি কমিটি গঠন করা হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/মে ২৫, ২০২১)