এমডি অভি, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে এবার অপহরন ও গুমের শিকার হওয়া কিশোর ১৪ বছর পর জীবিত ফিরে এসেছে। অথচ তাকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা সহ ১৯ জনকে আসামী করে ২০০৭ সালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। ৬ থেকে ৭ আসামী খেটেছেন জেলও। গুম হওয়া সেই কিশোর আল আমিন রুবেল (২১) যুবক হয়ে ফিরে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১৯ মে) রাতে গুম হওয়া রুবেল বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় মামলার আসামীরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।

রুবেল জানায়, ১৩ বছর আগে একদিন তার মা রহিমা খাতুনের মারধর ও ক্ষুধার যন্ত্রনায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনে আসে। পরে সেখান থেকে ট্রেনে কমলাপুর যায়। দীর্ঘদিন মানুষের কাছে হাত পেতে খেয়ে বেঁচেছিল। এরপর এক লোকের সাথে পরিচয় হওয়ার পর ওই লোক রামপুরা একটি হোটেলে কাজ নিয়ে দেয় তাকে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগ হাতির ঝিল সংলগ্ন মসজিদের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করে সেখানে রং মিস্ত্রির কাজ করছি।

রুবেল আরও জানায়, বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ১০ বছর পর তার সঙ্গে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। পরে সে কুঁড়েরপাড় আসতে চাইলে তার মা বলে তোকে এলাকায় নিয়ে গেলে মেরে ফেলবে। গত ৪ বছর ধরে সে এলাকায় আসতে চাইলেও তার মা তাকে আসতে দেয়নি বলে জানায় রুবেল। এক পর্যায়ে তার মাকে না জানিয়েই বুধবার রাতে কুঁড়েরপাড় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে সে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় মামলার আসামীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে। মামলার বাদী রহিমা খাতুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পলাতক রয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, মামলাটি বেশ কয়েক বছরের পুরোনো। পুলিশ ও ডিবি এর আগে তদন্ত করেছিল। শুক্রবার ভিকটিমকে আমরা আদালতের জিম্মায় দিবো এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এ/এসপি/মে ২১, ২০২১)