সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জন্মদিনে সালথায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল
আবু নাসের হুসাইন, সালথা : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা, ফরিদপুর-২, আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ৮৬তম জন্মদিন আজ ৮ মে শনিবার।
বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে ফরিদপুরের সালথায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বার।
শনিবার গট্টি গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ইফতার ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য শওকত হোসেন মুকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল, সহসভাপতি বাকি বিল্লাহ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সংসদ উপনেতার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৩৫ সালের এ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সাজেদা চৌধুরীর বাবা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তার স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ও একজন বীমা ব্যক্তিত্ব।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন। একই বছর তিনি বাংলাদেশ গার্ল-গাইড অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ ‘সিলভার এলিফ্যান্ট পদক’ লাভ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগ যখন ক্রান্তিকালে পড়েছিল তখন সাজেদা চৌধুরী দলের হাল ধরেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর যে কয়জন একনিষ্ঠ কর্মীদের কাছে পেয়েছিলেন সাজেদা চৌধুরী ছিল তার মধ্যে অন্যতম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী। এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়াামী লীগের যতগুলো কমিটি গঠন করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দলের সভাপতিমন্ডলীর সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০০ সালে আমেরিকান বায়োগগ্রফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘উইমেন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ২০১০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। পর পর তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ফরিদপুর- ২ (নগরকান্দা-সালথা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন।
(এন/এসপি/মে ০৮, ২০২১)