ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর
দুদকে অভিযুক্ত সেই সাংসদ রতনের ভাই ভাতিজার বিরুদ্ধে থানায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টার : ব্যাংক কর্মকর্তার উপর হামলা মারধরের ঘটনায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় থানায় মোশারফ হোসেন ওরফে হাজি মাসুদ ও তার ছেলে তানভীর হোসেন ওরফে সাগরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হযেছে।
বুধবার ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরী মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরপুর্বে মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ প্রাপ্তির পর মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওসি।
মামলার বাদী বিকাশ রঞ্জন সরকার। তিনি ধর্মপাশা উপজেলা সদরের বিমল রঞ্জন সরকারের ছেলে ও কৃষি ব্যাংক সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক শাখায় পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশার পাইকুরাটি নতুন বাজারে নিজ প্রয়োজনে কিছু জায়গা অনত্র বিক্রি করেন ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ রঞ্জন সরকার।
অপরদিকে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির সহোদর বড়ভাইকে না জানিয়ে অন্যত্র জমি বিক্রি করে দেওয়ায় সোমবার দুপুরে উপজেলার পাইকুরাটি নতুন বাজাওে জনসম্মুখে মারধরের শিকার হয়েছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই বহুল আলোচিত, দুদকে অভিযুক্ত এমপি রতননের সহোদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ওরফে হাজি মাসুদ ও তার ছেলে তানভীর হোসেনে সাগরের বিরুদ্ধে। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ মারধরের পর শেষ রক্ষা হয়নি ফের হামলার শংকায় বিকাশকে অন্য এক ব্যবসায়ীর ঘরে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
মামলার সুত্রে আরো জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি নতুনবাজারে বিকাশ রঞ্জন সরকারের ১৯ শতক জায়গা আছে। সেখান থেকে পাঁচ শতক তিনি বিক্রি করেছেন। সোমবার সকালে বিকাশ লোকজন নিয়ে তার জায়গার একটি টিনের ঘর ভাঙা শুরু করেন। দুপুরে মোশাররফ হোসেন বাজারে যান। এ সময় বিকাশকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেন, জমি বিক্রির আগে কেন তাকে জানানো হলো না? এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোশাররফ ও তার ছেলে সাগর বিকাশকে কিলঘুসি মারতে মারতে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেন।
বুধবার বাদী ব্যাংক কর্মকর্তা উপজেলার বিকাজ রঞ্জন সরকার বলেন, ইতিপুর্বে আমি এমপি রতনের নিকট জায়গা বিক্রি করলেও জোর পুর্বক দলিল করিয়ে নেয় কোন রকম টাকা পয়সা না দিয়ে। ফের তার ভাইকে না জানিয়ে বাজারের জায়গা বিকি করাটাই আমার অপরাধ হয়ে গেল যে কারনে আমাকে জনসম্মুখে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ হামলা মারধরের শিকার হতে হল।
বুধবার এমপি রতনের সহোদর মোশাররফ হোসেন ওরফে হাজি মাসুদ গণমাধ্যমের নিকট মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করার এক পর্যায়ে বলেন, আমি বিকাশকে বলেছিলাম বাজারের জায়গাটা আমাদের না জানিয়ে বিক্রি করে দিলায় কেন, জানালে আমরাও তো কিনতে পারতাম, এ কথা বলার পর আমার ছোট ভাই এমপি রতনকে উদ্দেশ্য করে উল্টো বলতে থাকেন এমপি নাকি পুর্বে জায়গা রেজিষ্ট্রি করে নিয়ে টাকা দেয়নি, ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুটা কথাবার্তা বলেছি মাত্র।
সোমবার ঘটনার সময় ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজে বাপ বেটার (তিনি ও তার ছেলে সাগর) অশ্লীল আক্রমনাত্বক ভাষায় বারবার গালি গালাজ ও হামলার জন্য তেড়ে যাবার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুক্তর দিতে পারেননি।
(এইচ/এসপি/মে ০৫, ২০২১)