ফরিদপুর সদর উপজেলায় বন্যা, ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ফরিদপুর প্রতিনিধি : পদ্মা নদীর পানি অব্যাহত ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, আলিয়াবাদ ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় মানবেতরভাবে দিন কাটাচ্ছে।
এসব এলাকার বেশির ভাগ নিচু স্থান তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি বন্দি কয়েক হাজার পরিবার সরকারী রাস্তার উচু স্থান ও বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। গত তিনদিন ধরে এসব পরিবার পানিবন্ধি অবস্থায় থাকলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি সাহায্য পৌছেনি। ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদেকুজ্জামান মিলন পাল জানান, পদ্মানদী বেষ্টিত ডিক্রিরচর ইউনিয়নের বেশীর ভাগ এলাকাই এখন নিমজ্জিত। এ ইউনিয়নের আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাংগী, নাজির বিশ্বাসের ডাংগী, তাইজুদ্দি বিশ্বাসের ডাংগী, বালিয়া ঘাট, মুন্সী ডাংগী, বেপারী ডাংগী, তাইজেল মাতুব্বরের ডাংগীসহ ১০টি গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি।
নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কমপক্ষে ১২টি গ্রামের দু হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। পদ্মার চর এলাকা হওয়ায় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নটি বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলার কয়েকশ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলায় বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
(আরআইআর/এএস/আগস্ট ২৪, ২০১৪)