ডেস্ক বিপোর্ট : ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন জনাব জিল্লুল হাকিম। ৫০ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির কারণে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ার  উপক্রম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টাকা ধার নিয়ে ঋন পরিশোধ  করে ওই নির্বাচনে অংশ নেন এবং  নির্বাচনে নির্বাচিত হন তিনি। দুই যুগের ব্যবধানে এখন তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ি-২ ( পাংশা- কালুখালী- বালিয়াকান্দি) আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম কয়েক শত কোটি টাকার মালিক।

বিষেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমসহ পরিবারটি দুর্নীতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রাজবাড়ীতে চলছে জিল্লুল হাকিম শাসন। জেলা পরিষদের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও সড়ক জনপথের জমি দখল স্কুল কলেজের শিক্ষক ও দপ্তরী নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ এবং পদ্মা ও গড়াই নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তলোনের অভিযোগ রয়েছে জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রকাশ্য তার নামে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ও তার পরিবার ছাড়াও তার আশ্রীতদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

জিল্লুল হাকিম নিজের নামের পাশাপাশি স্ত্রী ও পুত্রের নামে বেনামে রাজবাড়ী-ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় সম্পাদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এক সময় মটরসাইকেল চরে বেড়ানো সেই জিল্লুল হাকিম এখন কয়েক কোটি টাকা মূল্যর বিলাসবহুল গড়ীতে চলাফেরা করেন। নামে বেনামে রাজবাড়ীতে কিনেছেন ২০০ শত বিঘার বেশি জমি রাজবাড়ী সদরসহ কালুখালী- বালিয়াকান্দি-পাংশা উপজেলা। সরোজমিনে ঘুরে, জিল্লুল হাকিম ও তার পরিবারের দুর্নীতি-অনিয়ম ও অবৈধ সম্পাদ অর্জনের তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যোর দুনীতি অনিয়ম এবং অবৈধ সম্পাদ অর্জনের তথ্য উপাত্তসহ একটি অভিযোগ জমা পারড়ছে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) চলতি বছরের ২০১৯ ফেব্রুয়ারী জমা হওয়া অভিযোগে ও বলা হয়, একটি মোটরসাইকেলের মালিক থেকে এখন বিলাসবহুল গাড়ি টয়োটা আলফার্ড, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, প্রাডো ভি-৮, পাজারো ভি-৬, নোয়া মাইক্রোবাসসহ ছয়টি গাড়ির মালিক হয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে রাজধানীর উত্তরার ১০ নাম্বার সেক্টরের ৮/ এ নাম্বার রোডে ১০ কাঠা জমির উপর সাততলা সুরম্য ভবন নির্মাণ করেছেন জিল্লুল হাকিম। যার আনুমানিক মূল্য প্রায ৫০ কোটি টাকা। উত্তরার এই বাড়ির সামনেই পাঁচ কাঠা জমির আরো একটি প্লটের মালিক তার পরিবার। রাজধানীর বনানীর সুপারমার্কেটের পেছনে অর্চার্ড হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে রয়েছে তার সিঙ্গাপুরে ১৪ কোটি টাকা মূল্যোর ফ্ল্যাট থাকর কথা জানা গেছে একটি সুত্রে।

১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনের সময় ৫০ হাজার টাকার জন্য ঋণ খেলাপি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেন, সেই সময় আমার ব্যবসার একটু ঝামেলার কারনে সমস্যা হয়েছিল। তবে সেই টাকা আমি নিজেই পরিশোধ করে নির্বাচন করেছিলাম। সূত্র : কালের কন্ঠ (৫ ই অক্টোবর ২০২০)।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০২০)