২১ নভেম্বর, ১৯৭১
মুক্তিবাহিনী কুমিল্লায় রাজাকারের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : টাইমস সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের কাছে এই মর্মে চরমপত্র দিয়েছেন দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান না হলে ভারত সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবেন, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করবেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ্যে সমর্থন দেবেন।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রেরিত এক জরুরি পত্রে অবিলম্বে বাংলাদেশ সঙ্কট সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
যুদ্ধ সংক্রান্ত গোপন রিপোর্ট:
21.11.71 D Coy Boyra
1. About 200 Pak tps conc Amjhupi 5328 M/S. 79A/10
Daradi 5825M/S 79A/10 from Meherpur.G.1: A-1
2. 30 Razakars with one N/Sub seen Meherpur Power
House 4932 M/S. 79A/9 about 80 Pak tps vocational
Institute 4831 and graveyard 4830 M/S. 79A/9 4 jeeps
and 4 X 3 toner also seen in that area.G.1: A
মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার নতুন বাজারে রাজাকারের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে ১৩ জন রাজাকারকে বন্দী করে। মুক্তিবাহিনী রাজাকারদের কাছ থেকে ১৩টি রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
সিলেটের শ্রীঘাট গোয়াইনঘাট সড়কে মুক্তিবাহিনীর পেতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে পাকবাহিনীর একটি জীপ ধ্বংস হয়। এতে ঐ জীপের ১ জন মেজরসহ আরো ৫ জন শত্রু সৈন্য নিহত হয়।
নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাক হানাদারবাহিনীর এক সম্মুখ যুদ্ধে ৭ জন পাক সেনা নিহত হয়। ঐ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী মর্টার ব্যবহার করে। মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কাছ থেকে ১১০০ এ্যামুনিশন ও ১টি চীনা রাইফেল উদ্ধার করে।
যশোরের চৌগাছায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। উভয় পক্ষ এই যুদ্ধে ট্যাঙ্ক এবং ভারী কামান ব্যবহার করে। যৌথ বাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণে পাকবাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়। যুদ্ধে পাকবাহিনীর ছয়টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়। ১৪টি চীনা স্যাফি ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রায় ৫০০ পাকসৈন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/নভেম্বর ২১, ২০২০)