আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই। শনিবার দেশটিতে ৭৬ হাজার ৪৭২ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ মাসজুড়ে ভারতে করোনার সংক্রমণ ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ। রয়টার্স জানাচ্ছে, টানা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে রুপ নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত।

মহামারি প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ভারতে এখন পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে করোনা। বিশ্বের সর্বাধিক আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরপরই দেশটির অবস্থান। তবে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উল্লিখিত দেশ দুটির চেয়ে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ছিল গোটা বিশ্বে সর্বোচ্চ।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া হিসাব অনুযায়ী ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও এক হাজার ২১ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৬২ হাজার ৫৫০ জনে। এদিকে আগামী সপ্তাহ থেকে ভারতজুড়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে ভারতজুড়ে আংশিকভাবে চালু হবে পাতাল রেল। আর এমন নিষেধাজ্ঞা শিথিল নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, শহরকে পুরোদমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে এর প্রয়োজন রয়েছে।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। গতদিনেও পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র প্রদেশে ৩৩১ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু মুম্বাইয়ে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মহারাষ্ট্রে রোগীর সংখ্যাও বেশি। দৈনিক মৃত্যুতেও বাকিদের চেয়ে এগিয়ে মহারাষ্ট্র।

শুক্রবার দেশটির সবশেষ হাই প্রোফাইল ব্যক্তি হিসেবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা এইচ বসন্তকুমার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯ এ কন্যাকুমারী আসনের এমপি বসন্তকুমারের অসময়ে এই মৃত্যু মারাত্মক দুঃখের সংবাদ।’

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৯, ২০২০)