শালিখায় আদিবাসীদের নামে বরাদ্দ টাকা লুটপাট !
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শালিখা উপজেলা প্রজ্ঞা আদিবাসী কল্যাণ সংস্থার নামে বরাদ্দ এনে অর্ধেক টাকা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে সমিতির সভাপতি পরিমল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। নৃত্বাত্তিক জন গোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নে গত ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা এবং ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে বরাদ্ধ আসে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
এর মধ্যে শিক্ষাখাতে প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৪ হাজার টাকা ও ৬ষ্ঠ থেকে একাদ্বশ শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৬ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপবৃত্তি হিসাবে বরাদ্ধ দেয়া হয়। এ টাকা হতে ২১ জন ছাত্র-ছাত্রীর নামে ৪ ও ৬ হাজার টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। উক্ত টাকার বিপরীতে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে জনতা ব্যাংকের একটি করে চেক প্রদান করা হয়। গত ৫ আগষ্ট উক্ত টাকা জনতা ব্যাংক আড়পাড়া শাখা থেকে উত্তোলন করার পর প্রজ্ঞা আদিবাসী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি পরিমল বিশ্বাস ও তার সহযোগী বাসুদেব বিশ্বাস ব্যাংকের নিচে বসে প্রতি ৪ হাজার টাকা থেকে ১৪শ টাকা ও ৬ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা খরচ বাবদ জোর পূর্বক নিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে একাধিক ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা জানান- উপর মহলে টাকা দিয়ে বরাদ্দ আনতে হয় বলে উক্ত টাকা কেটে নিয়েছে। টাকা কেটে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় আদিবাসী নেতা মঙ্গল রায়ের সাথে ওই দিন ব্যাংকের নিচে পরিমলের সাথে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ ব্যাপারে আদিবাসী সমিতির প্রকৃত সভাপতি বলে দাবিদার মঙ্গল রায় বলেন টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। গত বছরও সে একই ভাবে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে। শ্রাবনী নামক এক ছাত্রীর পিতা শক্তিপদ, তালখড়ি গ্রামের পুষ্প রানী ও শান্তনা বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে জানান গত বছরও একই ভাবে পরিমল আমাদের কাছ থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। এ ব্যাপারে পরিমলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক স্থানে টাকা দিয়ে টাকা আনতে হয়। আপনারা নিউজ করলে আমার কিছু যায় আসে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রজ্ঞা আদিবাসী কল্যাণ সংস্থার নামে কোন সমিতির রেজিষ্ট্রেশন নাই।
(ডিসি/এএস/আগস্ট ১০, ২০১৪)