স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াসিম আব্বাসকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় সিকৃবি শিক্ষার্থীদের তিনদিনের আলটিমেটাম শেষে আবারও সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আলটিমেটামের শেষ দিন বুধবার নগরীর টিলাগড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিকৃবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর টিলাগড় এলাকায় আম্বরখানা-তামাবিল সড়ক অবরোধ করা হয়। বেলা দেড়টার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসে ফিরে যান তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলাকালে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সিকৃবি শিক্ষার্থী ওয়াসিম আব্বাসকে হত্যার ঘটনায় ক্লাস বর্জন, পরীক্ষা স্থগিত, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত চালক-হেলপার ও সুপারভাইজারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

একই দাবিতে ২৪ মার্চ সিকৃবির শিক্ষার্থীরা সিলেট নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।

তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো- অভিযুক্ত চালক ও হেলপারের ফাঁসি কার্যকর করা, উদার পরিবহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে চলতে না দেয়া, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি না চালানো এবং সড়কে শিক্ষার্থীসহ সব যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ২৭ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন ও পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানান।

রোববারের ঘোষিত তিনদিনের কর্মসূচির শেষ দিনে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরের টিলাগড়স্থ মাদানি শাহি ঈদগাহ পয়েন্টে সমবেত হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মেনে নিতে স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ জানান। দাবিগুলো মেনে নেয়া হলে আগামী রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

২৩ মার্চ শনিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওয়াসিম আব্বাসকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাসের চালক জুয়েল মিয়া ও হেলপার মাসুক মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে সিকৃবি প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বাদী একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামি চালক ও হেলপারের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

(ওএস/অ/মার্চ ২৭, ২০১৯)