কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের রামুর হিমছড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সড়কের তিন নম্বর ব্রিজ এলাকায় বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে একজনের কাছে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা গেছে, তিনি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বুধুরার প্রধানিয়া বাড়ির ফজলু মিয়ার ছেলে এনামুল হক। নিহত অপরজন একই এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন আরিফ।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, কিছুলোক একটি প্রাইভেট কারযোগে (চট্টমেট্টো-খ-১১-১৩৬৫) মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে টেকনাফ থেকে আসলিছেন। এসময় বিজিবি ও র্যাবের তল্লাশি চৌকি থেকে তাদের দাঁড়াতে সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই কারে থাকা লোকজন বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এ সময় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে তারা দাঁড়িয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে খবর পেয়ে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনোয়ার এবং রামু থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমানসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে যান।
ওসি মনির আরো বলেন, তাদের গাড়ি থেকে একটি পিস্তল, একটি এলজি, ১২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৭ রাউন্ড খালি খোসা এবং তাদের ব্যবহৃত এক্স-করোলা মডেলের কারটি জব্দ করা হয়। আর গাড়ির পেছনের বক্সে একটি মাঝারি সাইজের হ্যান্ডব্যাগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৬০ হাজার ইয়াবা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আত্মরক্ষার্থে র্যাব ও বিজিবি গুলি চালায়। এতে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি বিদেশি রিভলবার ও গোলাবারুদ এবং হ্যান্ডব্যাগ ভর্তি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় রামু থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
(ওএস/এসপি/জুলাই ১৯, ২০১৮)