স্টাফ রিপোটার : “ইলিশের বাজারে দুই মণ ধান বিক্রি করেও একটি মাঝারি আকৃতির ইলিশ মাছ কেনা দায় হয়ে পড়েছে। কেননা আমাদের মতো গরীবের ধানের বিনিময়ে ইলিশ কেনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।” কথাগুলো বলছিলেন লিমন শেখ নামে এক কৃষক।

বৈশাখ আসি আসি করে বাঙালির ঘরে চলেই এল। আজ বাদে কালই পহেলা বৈশাখ। আর এ বৈশাখকে সামনে রেখে রোববার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ইলিশের যেমন চাহিদা, তেমন দামেও বাজারে আগুন।

এদিকে প্রায় ৮০০ গ্রাম ওজনের একটি মাঝারি সাইজের ইলিশের মূল্য পনেরশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি মন ধন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়।

ইলিশ বিক্রেতা শহিদুল বেপারি উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে দেশের প্রায় সব জায়গাতেই ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি দাম দিয়েই এবার ইলিশ আমদানি করতে হয়েছে। এছাড়াও প্রতি বছরের এ সময়টায় ইলিশের তুলনামূলকভাবে চাহিদা বেশি থাকায় দামের ব্যাপারটা সবসময় আকাশছোঁয়া হয়ে থাকে।

বাজারে ইলিশ কিনতে আসা এক ক্রেতা শফিুকুল ইসলাম মতি উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, বাংলা ঐতিহ্যকে লালন-পালনের একটি স্মরণীয় দিন পহেলা বৈশাখ। আর দিনটিকে আর স্মরণীয় রাখতে পান্তা-ইলিশের ব্যাপক চাহিদা আমাদের বাংলার মাটিতে আছে। কিন্তু আজ আমরা এমন এক সময়ে পৌঁছেছি যেখানে ইলিশ মাছ কেনা শুধু সাধ্যের মধ্যেই পড়ে। যার সাধ্য আছে, সেই শুধু এর ভাগিদার।”

তবে বাজারে ইলিশ কিনতে আসা অনেক ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই কিছু অসাধু ইলিশ বেপারিরা এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আড়ত থেকেই এর দাম হাতের নাগালের বাইরে ফেলে রাখে। তাই সবার সাধ্যের মধ্যে পড়ে না ইলিশ কেনা।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ১৩, ২০১৪)