নওগাঁ প্রতিনিধি : শনিবার  নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে ও মহাদেবপুর উপজেরার শিবগঞ্জ বাজারে পৃথক দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

ওইদিন বিকেল ৪ টায় নওগাঁর মহাদেবপুরে নিজ শয়ন ঘর থেকে শ্রী সুদেব চন্দ্র কুন্ডুর স্ত্রী শ্রীমতি শিউলী রানী কুন্ডুর (৪৫) বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর গলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুদেব ও তার পরিবারের লোকজনের দাবী মারপিটের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে শিউলী রানী হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে শিউলীর পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শিউলীকে হত্যার পর তার মুখে হারপিক ঢেলে দিয়ে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে তার স্বামী। এমনকি স্বামীর নির্যাতনে শিউলী মারা গেলে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই ঘরে ফেলে রাখা হয় বলেও প্রতিবেশীদের অভিযোগ।

অপরদিকে, নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে (পশ্চিমপাড়া) লাকি আকতার (২৪) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। যৌতুকের দাবিতে লাকিকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ী পলাতক রয়েছে।

লাকির চাচা শামছুর রহমান মন্ডল জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি, মৃতদেহের জিহ্বা কামড় দেয়া ছিলনা, প্রস্রাব-পায়খানাও করেনি। গলায় ক্ষতের দাগ ছিল। মাথার চুল ছেঁড়া ছিল। এসব দেখে তারা সন্দেহ করছেন যৌতুকের দাবিতে লাকিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

চার বছর আগে তার ছোট ভাই প্রবাসী লাদু মন্ডলের মেয়ে লাকি আকতার ভালবেসে একই গ্রামের শিমুলিয়া পশ্চিমপাড়ার আকবর আলী সরদারের ছেলে হাসানকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে হাসান যৌতুকের টাকার জন্য লাকিকে নির্যাতন করতো। কয়েকদিন আগেই লাকি ৪০ হাজার টাকা ঋণ তুলে দেয় স্বামীকে। সেই টাকা জুয়া ও নেশা খেয়ে ফুরিয়ে ফেলে। আবারও টাকার জন্য চাপ ও নির্যাতন চালায়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ওইদিন রাতেই থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে মযনা তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতার মর্গে পাঠায়। তবে পৃথক দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

(বিএম/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭)